বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মজিলা ফায়ারফক্সের আলোচিত স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন। দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন (সিম্ফনীর সহযোগিতায়) আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যান্ডসেটটি হোটেল ওয়েস্টিনে উন্মুক্ত করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে ট্যাক্সের কারণে ২৫ ডলার মূল্যের হ্যান্ডসেটটি বাংলাদেশে ৬০ ডলারে বিক্রি হতে পারে।
হ্যান্ডসেটটির উদ্বোধন উপলেক্ষে ইতিমধ্যে গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। অনুষ্ঠানে মজিলা ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মজিলা ফাউন্ডেশন ভারতের বাজারে সম্প্রতি এ ফোন উন্মোচন করেছে। সেখানে দাম ধরা হয়েছে ৩৩ ডলার। এর আগে মার্চে ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে টেলিনর ডিজিটালের চিফ স্টাটেজিক অফিসার অ্যান্ডার্স হ্যালিন বাংলাদেশের বাজারে মজিলার ২৫ ডলারে হ্যান্ডসেট বাজারজাত করার পরিকল্পনা কথা জানান।
এদিকে মজিলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মার্ক সারমেন গত সপ্তাহে ঢাকায় কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন্স কাউন্সিল ফোরামে এসে বলেন, অনেকদিন ধরে এ দেশে ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন আনার কাজ করছেন তারা। স্থানীয় কমিউনিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি এ ক্ষেত্রে বেশ কাজে দিচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি মজিলা ফোন বাংলাদেশ উন্মুক্ত করা হবে। তা ছাড়া বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য গুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের আইওএস এর মতো মজিলার ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম আনারও কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি। বাংলায় মজিলার এ অপারেটিং সিস্টেম একটি চমক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ স্মার্টফোনে থাকছে ৩.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যার রেজ্যুলেশন ৩২০*৪৮০পিক্সেল। এ ছাড়া ওয়াই-ফাই, ব্লুট্রুথ, এফএমরেডিও এবং অন্যান্য সুবিধা থাকবে। ছবি তোলার জন্য আছে ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহৃত হবে মজিলা ফায়ারফক্স। ব্রাউজারটি এইচটিএমএল৫ সমর্থন করবে। মজিলার এই স্মার্টফোনটি চলবে ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমে। স্মার্টফোনটি তৈরির মূল দায়িত্বে আছে ইনটেক্স এবং স্পাইস নামে ভারতের দুইটি প্রতিষ্ঠান। আর এই স্মার্টফোনটির চিপ নির্মাণ করেছে চীনের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পিডট্রাম।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মজিলার স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক এবং সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন। কিন্তু টেলিটকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবর্তন এবং নিজেদের গুছিয়া না ওঠার কারণে তারা শেষ পর্যন্ত আর স্মার্টফোনটি তাদের ব্যানারে নিয়ে আসতে পারেনি।