বর্তমান
ইন্টারনেট তথ্য প্রযুক্তির যুগে নিত্য নতুন পন্যর জুগান ও নিত্য কৌশল সমূহ
আপডেটেড হচ্ছে। যেমন: অনেক পূর্বে প্রায় ৫/১০ বছর পূর্বে টিভি দেখতে
টেলিভিশন নামক আলাদা একটি যন্ত্র ক্রয় করতে হত প্রায় ৫,০০০-৬,০০০/- টাকার
মধ্য, অপরদিকে টেলিভিশনটি কালার হিসাবে ক্রয় করতে আরো বেশী অর্থ যোগ করতে
হত প্রায় ১২,০০০/- টাকার উর্দ্ধে। অবশ্য তখনকার টেলিভিশনের আয়তন/আকার ছিল
বৃহত ধরনের। প্রায় টেবিলটাই জুড়ে যেত। তাছাড়া টেলিভিশন দ্বারা শুধুমাত্র
ছবি দেখা ব্যতিত অআর কিছুই করা যেত না। অপরিদকে বর্তমান হাল সময়ে দেখুন
প্রযুক্তি বিশ্ব কতটা আপডেটেড ও অ্যাডভান্স। এখন অআর সেই বিশালাকার টিভি
ক্রয়ের প্রয়োজন পড়ছেনা। শুধুমাত্র মনিটরের সাথে নাম মাত্র একটি টিভি কার্ড
সংযুক্ত করে নিলেই টিভি দেখার স্বাদ মিটছে। বর্তমানে এই পদ্ধতিটিই সবচেয়ে
জনপ্রিয় হয়েছে। এখানে নিম্নোক্ত সুবিধার কারনে ক্রেতা সাধারন টিভি কার্ড
ক্রয় করছেন তথা -
১। একই সাথে টিভি ও পিসির কাজ করা যাবে।
২। প্রয়োজনীয় টিভি প্রোগ্রাম রেকর্ড ও শেয়ার করা যাবে।
৩। অপরদিকে টিভি স্কীনের চেয়ে মনিটর স্কীন অনেক বেশী শার্পনেস, ক্লিয়ার রেট এবং পিক্সেল বাউন্স ভালো হবার কারনে এই সিস্টেমটি জনপ্রিয় হয়েছে।
৪। তথাপি এমন অনেক রয়েছেন যারা ভবিষ্যতে পিসি ক্রয় করার সিদ্ধান্তে রয়েছেন তারাই প্রাথমিক ভাবে টিভি কার্ড পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন।
যাইহোক টিভি কার্ড নিয়ে বেশ কিছু সুবিধার কথা বলা হল। এবার কাজের কথাতে আসি। অনেকে অভিযোগ করবেন যে বাজারে প্রায় বেশ কয়েক ধরনের ও ব্রান্ডের টিভি কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। এই সবের মধ্যে কোনটি কিনবেন কিংবা কোনটির বেশী সুবিধা রয়েছে তা পোস্টের মধ্যে অআলোচনা করব। অবশ্য আমি মনে করি প্রযুক্তি বিষয়ক কোন পণ্য ক্রয় করার পূর্বে সেটির সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকলে ভালো হয়। অবশ্য আমাদের ব্যবহৃত পণ্যগুলোর রিভিউ দেয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে নতুন যারা কিনতে যাবেন উপকৃত হবেন।
প্রধানত টিভি কার্ডের তিন ধরনের হয়। তথারুপ:
১. ইন্টারনাল (Internal)
২. এক্সটারর্নাল (External)
৩. ইউএসবি (USB)
অপরিদকে পিসি নষ্ট হলে শুধু মনিটর ব্যবহার করে চালাতে পারবেন না। এসব সমস্যার কারণেই ইন্টারনাল কার্ডগুলো বেশী একটু জনপ্রিয়তা নাই। তবে ছবির কোয়ালিটির ব্যাপারে আপনি যদি আপোষহীন হোন এবং রেকডিং এর চিন্তা মাথায় থাকে তবে ইন্টারনাল কার্ড হবে আপনার প্রথম চয়েস। এভারমিডিয়া (Avermedia) এর কার্ড ৩,১০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫,০০০/-মধ্যে পাবেন। অবশ্য বাজেট কম হলে কেওয়ার্ল্ড Kworld, Perfect,Real View এর কার্ড ২০০০/২,৬০০ টাকার মধ্য নিতে পারেন।
আপনি যদি ছবির মান নিয়ে খুতখুতে হোন এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান তবে বাজেট একটু বাড়িয়ে Kworld (কেওয়ার্ল্ড) নিতে পারেন। সাধারন মানের মধ্য Kworld একটি ভাল মানের টিভি কার্ড এগুলোর দাম ২০০০/২,৫০০ এর মত পড়বে। বাজেট একেবারে বেশী হলে ৪,০০০/- এভারমিডিয়া নিন। এছাড়াও পার্ফেক্ট (Perfect) ১,৮০০ টাকা ও রিয়েলমিডিয়া (Real Media) ১৭,০০ টাকা ও রিয়েলভিউ (Real View) ১,৬০০ টাকার থেকেই পাবেন তবে এই সবগুলো ব্যান্ডের কোয়ালিটিও গেডমির মতই। সর্বশেষ কথা হল- যারা এই মুহুর্তে শুধুমাত্র মনিটর ক্রয় করেছেন কিংবা পরবর্তীতে পিসি কেনার কথা ভাবছেন তাদের জন্য External কার্ড বাছাই করাটা সবচেয়ে বুদ্ধি মানের কাজ হবে।
যাইহোক চায়না ব্রান্ড কিরুপ তা অাপনাদেরকে নতুন করে বলতে হবে না, টিকলে বেশ ভাল যায় না টিকলে ফস!! আবার আপনার বাজেট যদি হয় ২,০০০+ তবে কেওয়ার্ল্ড (Kworld) নিন। চীনের হলেও তাইওয়ানের বেশ সুনাম রয়েছে ইলেকট্রনিক্স দুনিয়ায়। তাইওয়ান ভিত্তিক এই ব্রান্ডের কার্ডগুলোর কোয়ালিটি বেশ ভাল। বড়কথা পিসির গ্রাফিক্সে কোন প্রভাব ফেলেনা। পিসি টিভিকার্ড দুটোই সমতালে চালাতে পারবেন। তাছাড়া এটি HD সাপোর্ট দেবে। এরও ওয়ারেন্টি পাবেন ১ বছর। বাজেট খুব বেশী হলে (৪,০০০+) এভারমিডিয়া নিয়ে নিন। টিভিকার্ডের দুনিয়ায় এভারমিডিয়ার স্থান অপ্রতিদ্বন্দী। এর প্রতিটি পণ্য কোয়ালিটি সম্পন্ন। আর ওয়ারেন্টি পাবেন মডেল হিসাবে ১-৩ বছর পর্যন্ত! আমার অভিজ্ঞতাতে বলি-প্রায় ৩/৪ বছর যাবত আমি ২/৩টি কোম্পানীর টিভি কার্ড ব্যবহার করে আসছি এবং অনেকেরই ক্রয় করে দিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে এভার মিডিয়াকেই সবচেয়ে বেশী ভাল মনে হয়েছে। অন্য গুলোরও কোয়ালিটি বেশ ভালো, কিন্তু মনে হয়না এভার মিডিয়ার ধারে আসবে। যাইহোক এখানে আমার অভিমত গুলো প্রকাশ করলাম। যদি কোন ব্যবহারকারী মনে করেন তিনি অন্য কোন ব্রান্ড ক্রয় করবেন তাহলেও কোন সমস্যা নাই। কেননা, অআমি তো কোন টিভি কার্ড কোম্পানীর ব্যক্তি নই, কিংবা চাকুরী করি!!
২। যে ব্যন্ডই ক্রয় করুন না কেন সেটি ল্যাটেস্ট ভার্সন নিয়ে নিন। এই ব্যাপারে বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।
৩। প্যাকেটের উপরের তথ্যগুলো ভালভাবে দেখে নিন।
৪। পন্যর ওয়ারেন্টি কত দিনের? সফটওয়্যার আছে কি?অন্যান্য সংযুক্ত কিছু আছে কিনা তা জেনে নিতে ভূলবেন না যেন!!
৫। পরিশেষে আপনার পিসিটি বিশেষ করে কম্বো/Internal টিভি কার্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করবে কিনা জেনে নিন। অর্থাত পিসির কনফিগারেশনের সাথে মিলকরন করতে হবে।
যারা ল্যাপটপ ব্যবহারকারী আছেন বা ল্যাপটপ ক্রয় করবেন তারা কিন্তু কোনভাবেই ইন্টারনাল টিভি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে ইউএসবি বা এক্সটারনাল টিভি কার্ড ব্যবহার করবেন। অবশ্য ল্যাপটপও ভালো কনফিগারেশনের হতে হবে টিভি অপারেট করতে গেলে। মিনিমাম ল্যাপটপ কনফিগারেশন ডুয়ালকোর হলেই চলবে।
যাইহোক পোস্টে অনেক আলোচনা হল। আশা করি সম্যক ধারনা হলেও অনেকের উপকারে আসবে। সুতরাং এবার নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন কোন টিভি কার্ডটি আপনার জন্য মানানসই!!
১। একই সাথে টিভি ও পিসির কাজ করা যাবে।
২। প্রয়োজনীয় টিভি প্রোগ্রাম রেকর্ড ও শেয়ার করা যাবে।
৩। অপরদিকে টিভি স্কীনের চেয়ে মনিটর স্কীন অনেক বেশী শার্পনেস, ক্লিয়ার রেট এবং পিক্সেল বাউন্স ভালো হবার কারনে এই সিস্টেমটি জনপ্রিয় হয়েছে।
৪। তথাপি এমন অনেক রয়েছেন যারা ভবিষ্যতে পিসি ক্রয় করার সিদ্ধান্তে রয়েছেন তারাই প্রাথমিক ভাবে টিভি কার্ড পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন।
যাইহোক টিভি কার্ড নিয়ে বেশ কিছু সুবিধার কথা বলা হল। এবার কাজের কথাতে আসি। অনেকে অভিযোগ করবেন যে বাজারে প্রায় বেশ কয়েক ধরনের ও ব্রান্ডের টিভি কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। এই সবের মধ্যে কোনটি কিনবেন কিংবা কোনটির বেশী সুবিধা রয়েছে তা পোস্টের মধ্যে অআলোচনা করব। অবশ্য আমি মনে করি প্রযুক্তি বিষয়ক কোন পণ্য ক্রয় করার পূর্বে সেটির সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকলে ভালো হয়। অবশ্য আমাদের ব্যবহৃত পণ্যগুলোর রিভিউ দেয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে নতুন যারা কিনতে যাবেন উপকৃত হবেন।
কোন ধরণের টিভিকার্ড আপনি ক্রয় করবেন?
প্রথমে বিবেচনা করতে হবে আপনার প্রয়োজন কোন ধরনের টিভি কার্ড। আপনি কি অনুষ্ঠান রেকর্ডিং এর জন্য কার্ড নেবেন নাকি শুধু টিভি দেখবার জন্য। রিমোটের প্রয়োজন আছে নাকি নেই!!প্রধানত টিভি কার্ডের তিন ধরনের হয়। তথারুপ:
১. ইন্টারনাল (Internal)
২. এক্সটারর্নাল (External)
৩. ইউএসবি (USB)
Internal কার্ডঃ
নাম শুনেই হয়ত বুঝতে পেরেছেন কি? হ্যা এই গুলো সবই মাডারবোর্ডের মধ্য কানেক্ট করতে হয়। এই কার্ডের ভিডিও কোয়ালিটি অন্যগুলোর চেয়ে ভাল পাবেন। রেকর্ডিং সুবিধাও পাবেন তবে সমস্যা হল- Internal কার্ড চালাতে হলে আপনাকে পিসি অন করতে হবে। কার্ডটি লাগানো থাকবে মাদারবোর্ডের সাথে PCI স্লটে, অর্থাৎ গ্রাফিক্সকার্ড এর একটি স্লট দখল করে নেবে। আবার টিভি হুট করে চালু করতে পারবেন না, পিসি অন হবার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।অপরিদকে পিসি নষ্ট হলে শুধু মনিটর ব্যবহার করে চালাতে পারবেন না। এসব সমস্যার কারণেই ইন্টারনাল কার্ডগুলো বেশী একটু জনপ্রিয়তা নাই। তবে ছবির কোয়ালিটির ব্যাপারে আপনি যদি আপোষহীন হোন এবং রেকডিং এর চিন্তা মাথায় থাকে তবে ইন্টারনাল কার্ড হবে আপনার প্রথম চয়েস। এভারমিডিয়া (Avermedia) এর কার্ড ৩,১০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫,০০০/-মধ্যে পাবেন। অবশ্য বাজেট কম হলে কেওয়ার্ল্ড Kworld, Perfect,Real View এর কার্ড ২০০০/২,৬০০ টাকার মধ্য নিতে পারেন।
External কার্ড:
এই টিভি কার্ডগুলো সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ও বেশী ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো সরাসরি মনিটরের সাথে যুক্ত থাকে, ব্যবহারের জন্য পিসির প্রয়োজন হয় না। রেকর্ডিং সুবিধা নেই তবে কিছু কার্ডে VGA out এর মাধ্যমে রেকর্ডিং করা সম্ভব হবে যদি আপনার গ্রাফিক্স কার্ড থাকে। বাংলাদেশে গেডমি Gadmei ব্রান্ডেরগুলো ১,৪০০ টাকা থেকেই পাওয়া যায়। এখানে স্মরন রাখা দরকার যে, বর্তমানে গেডমি ব্যতিত অন্য কোন ভাল ব্যান্ড ব্যবহার করলে ভাল হয়। পূর্বে যখন বাজারে গেডমি এসেছিল তখন এর মান বেশ ভালই ছিল। কিন্তু বর্তমানে তেমনটা ভাল মনে হচ্ছে না।আপনি যদি ছবির মান নিয়ে খুতখুতে হোন এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান তবে বাজেট একটু বাড়িয়ে Kworld (কেওয়ার্ল্ড) নিতে পারেন। সাধারন মানের মধ্য Kworld একটি ভাল মানের টিভি কার্ড এগুলোর দাম ২০০০/২,৫০০ এর মত পড়বে। বাজেট একেবারে বেশী হলে ৪,০০০/- এভারমিডিয়া নিন। এছাড়াও পার্ফেক্ট (Perfect) ১,৮০০ টাকা ও রিয়েলমিডিয়া (Real Media) ১৭,০০ টাকা ও রিয়েলভিউ (Real View) ১,৬০০ টাকার থেকেই পাবেন তবে এই সবগুলো ব্যান্ডের কোয়ালিটিও গেডমির মতই। সর্বশেষ কথা হল- যারা এই মুহুর্তে শুধুমাত্র মনিটর ক্রয় করেছেন কিংবা পরবর্তীতে পিসি কেনার কথা ভাবছেন তাদের জন্য External কার্ড বাছাই করাটা সবচেয়ে বুদ্ধি মানের কাজ হবে।
USB TV Card:
ইউএসবি কার্ডগুলো পিসির ইউএসবি পোর্টে সংযোগ দিতে হয়। এই কার্ডে আপনি রেকর্ডিং সুবিধা পাবেন। তবে ইউএসবি পোর্টের অন্যন্য সীমাবদ্ধতার মতই এটিও ঝামেলা করে। বিশেষত স্পিড, কোয়ালিটি। ইউএসবি এর পরিবর্তে এক্সটারনাল বা ইন্টারনাল কেনাটাই বেশী বিবেচকের কাজ হবে। USB গুলোর মধ্যে এভারমিডিয়া ৩,৬০০ টাকা, গেডমি ২,২০০ টাকা, পার্ফেক্ট ১,৯০০ টাকা, রিয়েল ভিউ ২,১০০ টাকা থেকে পাবেন।কোন ব্রান্ডটি আপনি গ্রহন করবেন?
পণ্যের ক্ষেত্রে ব্রান্ড বড় একটি বিষয়। দামে কম মোবাইল সেট ওয়ালটনে বেশী ফিচার থাকলেও দামে বেশী স্যামস্যাংয়ের সাথে কোয়ালিটির পাল্লায় তা মিলবেনা। তাই প্রথমে বাজেট বিবেচনা করুন। আপনার বাজেট যদি ১,৫০০ এর নিচে হয় তবে চায়না ব্রান্ড গেডমি বা অন্য কোন প্রোডাক্ট নিতে পারেন। তবে গেডমি এর সমস্যা হল এর লো কোয়ালিটি ইমেজ আর দ্রুত নষ্ট হবার প্রবণতা। অন্যান্য ব্যান্ডের মতই ১ বছরের ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন গেডমি এর সাথে। গেডমির কোয়ালিটি মোটামুটি, তবে এটি পিসির গ্রাফিক্সে প্রভাব ফেলে যেমন- মাঝেমধ্য ছবি ঝিরঝির করে, রেট বাউন্স কম-বেশী করে। অবশ্য টিভি কার্ড এর সাথে পিসি লাগালে পিসির ক্লিয়ারিটি কিছুটা কমে যেতে পারে। এখানে পারফেক্ট (Perfect), রিয়েলভিউ (Real View), রিয়েলমিডিয়া (Real Media) গুলোও একই ঘরানার। সবগুলোর ওয়ারেন্টি থাকছে ১ বছর।যাইহোক চায়না ব্রান্ড কিরুপ তা অাপনাদেরকে নতুন করে বলতে হবে না, টিকলে বেশ ভাল যায় না টিকলে ফস!! আবার আপনার বাজেট যদি হয় ২,০০০+ তবে কেওয়ার্ল্ড (Kworld) নিন। চীনের হলেও তাইওয়ানের বেশ সুনাম রয়েছে ইলেকট্রনিক্স দুনিয়ায়। তাইওয়ান ভিত্তিক এই ব্রান্ডের কার্ডগুলোর কোয়ালিটি বেশ ভাল। বড়কথা পিসির গ্রাফিক্সে কোন প্রভাব ফেলেনা। পিসি টিভিকার্ড দুটোই সমতালে চালাতে পারবেন। তাছাড়া এটি HD সাপোর্ট দেবে। এরও ওয়ারেন্টি পাবেন ১ বছর। বাজেট খুব বেশী হলে (৪,০০০+) এভারমিডিয়া নিয়ে নিন। টিভিকার্ডের দুনিয়ায় এভারমিডিয়ার স্থান অপ্রতিদ্বন্দী। এর প্রতিটি পণ্য কোয়ালিটি সম্পন্ন। আর ওয়ারেন্টি পাবেন মডেল হিসাবে ১-৩ বছর পর্যন্ত! আমার অভিজ্ঞতাতে বলি-প্রায় ৩/৪ বছর যাবত আমি ২/৩টি কোম্পানীর টিভি কার্ড ব্যবহার করে আসছি এবং অনেকেরই ক্রয় করে দিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে এভার মিডিয়াকেই সবচেয়ে বেশী ভাল মনে হয়েছে। অন্য গুলোরও কোয়ালিটি বেশ ভালো, কিন্তু মনে হয়না এভার মিডিয়ার ধারে আসবে। যাইহোক এখানে আমার অভিমত গুলো প্রকাশ করলাম। যদি কোন ব্যবহারকারী মনে করেন তিনি অন্য কোন ব্রান্ড ক্রয় করবেন তাহলেও কোন সমস্যা নাই। কেননা, অআমি তো কোন টিভি কার্ড কোম্পানীর ব্যক্তি নই, কিংবা চাকুরী করি!!
টিভি কার্ড ক্রয়ের সময় যে বিষয় সমূহ লক্ষ্যনীয়:
১। প্রথমে কোন ব্রান্ড ক্রয় করবেন ও বাজেট কত টাকার মধ্য সিদ্ধান্ত নিন।২। যে ব্যন্ডই ক্রয় করুন না কেন সেটি ল্যাটেস্ট ভার্সন নিয়ে নিন। এই ব্যাপারে বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।
৩। প্যাকেটের উপরের তথ্যগুলো ভালভাবে দেখে নিন।
৪। পন্যর ওয়ারেন্টি কত দিনের? সফটওয়্যার আছে কি?অন্যান্য সংযুক্ত কিছু আছে কিনা তা জেনে নিতে ভূলবেন না যেন!!
৫। পরিশেষে আপনার পিসিটি বিশেষ করে কম্বো/Internal টিভি কার্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করবে কিনা জেনে নিন। অর্থাত পিসির কনফিগারেশনের সাথে মিলকরন করতে হবে।
Laptop ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষন:
যারা ল্যাপটপ ব্যবহারকারী আছেন বা ল্যাপটপ ক্রয় করবেন তারা কিন্তু কোনভাবেই ইন্টারনাল টিভি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে ইউএসবি বা এক্সটারনাল টিভি কার্ড ব্যবহার করবেন। অবশ্য ল্যাপটপও ভালো কনফিগারেশনের হতে হবে টিভি অপারেট করতে গেলে। মিনিমাম ল্যাপটপ কনফিগারেশন ডুয়ালকোর হলেই চলবে।
যাইহোক পোস্টে অনেক আলোচনা হল। আশা করি সম্যক ধারনা হলেও অনেকের উপকারে আসবে। সুতরাং এবার নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন কোন টিভি কার্ডটি আপনার জন্য মানানসই!!