বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে
বিটিআরসি কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর মহাখালীতে
সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়টি সিলগালা করে দেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির জন্য বরাদ্দ করা স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ বাতিল করা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে সংস্থাটির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা। আদালতে নির্দেশনা
অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে তাদের দিতে হতো ৩১৮ কোটি টাকা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা দিয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। আর এনবিআরকে দিয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিটিটিবি-এর কাছ থেকে লাইসেন্স পায়। তখন এর নাম ছিল বিটিএল। পরে ১৯৯২ সালে সিটিসেল নামে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও এর কার্যক্রম ছিল শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যেই। ১৯৯৭ সালে 'গ্রামীণফোন' যাত্রা শুরু করলে সিটিসেল প্রথম ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে যায়। মূলত, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের কারণে এ সময় থেকেই সিটিসেল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে থাকে।
গত ৩১ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা আদায় না হওয়ার কারণে যেকোনো সময় এর লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে ১৬ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সংযোগ খুঁজে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিটিআরসির সিদ্ধান্তের ২/১ দিনের মাথায় 'সিটিসেল চালু আছে, থাকবে'—গ্রাহকদের কাছে এ ধরনের এসএমএস যাওয়ার পর সিটিসেল সত্যিই বন্ধ হচ্ছে কি-না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দেয়। সে সময় ডাক ও টেলিযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে নীতি-নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।
এরপর প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ১৬ আগস্ট বিটিআরসি ও সিটিসেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সিটিসেল বন্ধের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নিতে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আরও সাত দিন অর্থাৎ ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিটিআরসির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিটিসেল আদালতে গেলে আপিল বিভাগ গত ২৯ আগস্ট বিটিআরসির টাকা পরিশোধে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেন।
সেদিন বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব সাংবাদিকদের জানান, ১৭ অাগস্টের আগ পর্যন্ত সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা। এর দুই তৃতীয়াংশ এখন থেকে এক মাসের মধ্যে, আর এক তৃতীয়াংশ পরবর্তী এক মাসে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ১৭ অাগস্টের পর থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা হচ্ছে।
প্রতিদিনের এই টাকা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, টাকা না পেলে বিটিআরসি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে। এই টাকা পরিশোধ করলে সিটিসেল কার্যক্রম চালাতে পারবে। তা না হলে বিটিআরসিকে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা না মানায় বৃহস্পতিবার সিটিসেলের তরঙ্গ বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
এ দিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির জন্য বরাদ্দ করা স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ বাতিল করা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে সংস্থাটির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা। আদালতে নির্দেশনা
অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে তাদের দিতে হতো ৩১৮ কোটি টাকা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা দিয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। আর এনবিআরকে দিয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিটিটিবি-এর কাছ থেকে লাইসেন্স পায়। তখন এর নাম ছিল বিটিএল। পরে ১৯৯২ সালে সিটিসেল নামে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও এর কার্যক্রম ছিল শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যেই। ১৯৯৭ সালে 'গ্রামীণফোন' যাত্রা শুরু করলে সিটিসেল প্রথম ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে যায়। মূলত, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের কারণে এ সময় থেকেই সিটিসেল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে থাকে।
গত ৩১ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা আদায় না হওয়ার কারণে যেকোনো সময় এর লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে ১৬ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সংযোগ খুঁজে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিটিআরসির সিদ্ধান্তের ২/১ দিনের মাথায় 'সিটিসেল চালু আছে, থাকবে'—গ্রাহকদের কাছে এ ধরনের এসএমএস যাওয়ার পর সিটিসেল সত্যিই বন্ধ হচ্ছে কি-না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দেয়। সে সময় ডাক ও টেলিযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে নীতি-নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।
এরপর প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ১৬ আগস্ট বিটিআরসি ও সিটিসেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সিটিসেল বন্ধের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নিতে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আরও সাত দিন অর্থাৎ ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিটিআরসির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিটিসেল আদালতে গেলে আপিল বিভাগ গত ২৯ আগস্ট বিটিআরসির টাকা পরিশোধে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেন।
সেদিন বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব সাংবাদিকদের জানান, ১৭ অাগস্টের আগ পর্যন্ত সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা। এর দুই তৃতীয়াংশ এখন থেকে এক মাসের মধ্যে, আর এক তৃতীয়াংশ পরবর্তী এক মাসে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ১৭ অাগস্টের পর থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা হচ্ছে।
প্রতিদিনের এই টাকা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, টাকা না পেলে বিটিআরসি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে। এই টাকা পরিশোধ করলে সিটিসেল কার্যক্রম চালাতে পারবে। তা না হলে বিটিআরসিকে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা না মানায় বৃহস্পতিবার সিটিসেলের তরঙ্গ বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।