চ্যাটিং অ্যাপের জয়জয়কার এখন। প্রতিটি মুহূর্ত সবাই চান সোশ্যাল
নেটওয়ার্কের চ্যাটে সংযুক্ত থাকতে। কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হয়
না। যেমন লিফটে উঠলে, আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলে বা গ্রামে গেলে অনেক সময়
ইন্টারনেট কানেকশনই চলে যায়।
এরকম পরিস্থিতিতে যাতে ব্যবহারকারীরা অন্তত চ্যাট থেকে বিরত না হন, সেজন্য নতুন এক প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে। অভূতপূর্ব এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘মেশ নেটওয়ার্কিং’, যা অনেকের কাছেই সম্ভবত অপরিচিত শব্দ।
সহজ কথায় বললে, মেশ নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকলে আপনার চ্যাট করার জন্য মূল ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত না থাকলেও চলবে।
তবে বিপুল সম্ভাবনার জন্য এটি শুধু চ্যাট নয়, দুর্গম স্থানে সামাজিক যোগাযোগ পৌঁছে দেওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
এর কারিগরিটি অবশ্য বেশ জটিল। সাধারণ ইন্টারনেটর সংযোগ ব্যবস্থাকে অনেকটা বাইসাইকেলের চাকার মতো বলা যায়। সেখানে চাকার প্রতিটি প্রান্ত প্রতিটি ডিভাইস, যা একটি কেন্দ্রবিন্দুকে মিলিত হয়। এ কেন্দ্রবিন্দুই ইন্টারনেট।
কিন্তু মেশ নেটওয়ার্কের কোনো কেন্দ্রবিন্দু নেই। বরং প্রতিটি প্রান্তই একেকটি ‘নোড’ হিসেবে কাজ করে কাছাকাছি অন্য নোডের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাই এতে ইন্টারনেটের মূলধারার সংযোগের কোনো প্রয়োজন হয় না।
এ ছাড়া অনলাইন প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়ে যারা দুশ্চিন্তা করেন, মেশ নেটওয়ার্কের তাদের জন্যেও দারুণ এক সমাধান হতে পারে। গতানুগতিক ইন্টারনেটের মতো এতে কোনো মূলকেন্দ্র না থাকায় একে ইচ্ছে করলেই ট্র্যাক করা বা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়।
এ নেটওয়ার্কের ধারণাটি কিন্তু নতুন নয়, বিশ্বের অনেক স্থানে যেখানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেই সেখানে মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নূন্যতম ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাপলের পরবর্তী আইওএস সংস্করণে মেশ মেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি-পিয়ার টেকনোলজি’।
এর ফলে হাতের আইফোন নিজেই একটি ইন্টারনেট রাউটারে পরিণত হতে পারে বাইরের কোনো ডিভাইস ছাড়া। সেই ডিভাইস থেকে অন্য অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
এ ছাড়া মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা একটি অ্যাপ ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেছে। ফায়ারচ্যাট নামে অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীরা মেসেজ, ফটো, ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন, যদি তার কাছাকাছি আরেক ব্যবহারকারী থাকেন।
অর্থাৎ ব্যবহারকারী হওয়ার জন্য একটি ইউজার চেইনের আওতায় থাকতে হবে। ফায়ারচ্যাটের ডেভেলপারের মিকা বেনলিয়েলের মতে, আগামীতে ফায়ারচ্যাটের মতো অ্যাপগুলোই হতে পারে সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ অ্যাপ।
এরকম পরিস্থিতিতে যাতে ব্যবহারকারীরা অন্তত চ্যাট থেকে বিরত না হন, সেজন্য নতুন এক প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে। অভূতপূর্ব এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘মেশ নেটওয়ার্কিং’, যা অনেকের কাছেই সম্ভবত অপরিচিত শব্দ।
সহজ কথায় বললে, মেশ নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকলে আপনার চ্যাট করার জন্য মূল ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত না থাকলেও চলবে।
তবে বিপুল সম্ভাবনার জন্য এটি শুধু চ্যাট নয়, দুর্গম স্থানে সামাজিক যোগাযোগ পৌঁছে দেওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
এর কারিগরিটি অবশ্য বেশ জটিল। সাধারণ ইন্টারনেটর সংযোগ ব্যবস্থাকে অনেকটা বাইসাইকেলের চাকার মতো বলা যায়। সেখানে চাকার প্রতিটি প্রান্ত প্রতিটি ডিভাইস, যা একটি কেন্দ্রবিন্দুকে মিলিত হয়। এ কেন্দ্রবিন্দুই ইন্টারনেট।
কিন্তু মেশ নেটওয়ার্কের কোনো কেন্দ্রবিন্দু নেই। বরং প্রতিটি প্রান্তই একেকটি ‘নোড’ হিসেবে কাজ করে কাছাকাছি অন্য নোডের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাই এতে ইন্টারনেটের মূলধারার সংযোগের কোনো প্রয়োজন হয় না।
এ ছাড়া অনলাইন প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়ে যারা দুশ্চিন্তা করেন, মেশ নেটওয়ার্কের তাদের জন্যেও দারুণ এক সমাধান হতে পারে। গতানুগতিক ইন্টারনেটের মতো এতে কোনো মূলকেন্দ্র না থাকায় একে ইচ্ছে করলেই ট্র্যাক করা বা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়।
এ নেটওয়ার্কের ধারণাটি কিন্তু নতুন নয়, বিশ্বের অনেক স্থানে যেখানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেই সেখানে মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নূন্যতম ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাপলের পরবর্তী আইওএস সংস্করণে মেশ মেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি-পিয়ার টেকনোলজি’।
এর ফলে হাতের আইফোন নিজেই একটি ইন্টারনেট রাউটারে পরিণত হতে পারে বাইরের কোনো ডিভাইস ছাড়া। সেই ডিভাইস থেকে অন্য অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
এ ছাড়া মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা একটি অ্যাপ ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেছে। ফায়ারচ্যাট নামে অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীরা মেসেজ, ফটো, ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন, যদি তার কাছাকাছি আরেক ব্যবহারকারী থাকেন।
অর্থাৎ ব্যবহারকারী হওয়ার জন্য একটি ইউজার চেইনের আওতায় থাকতে হবে। ফায়ারচ্যাটের ডেভেলপারের মিকা বেনলিয়েলের মতে, আগামীতে ফায়ারচ্যাটের মতো অ্যাপগুলোই হতে পারে সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ অ্যাপ।