নারায়ণন
কৃষ্ণণ। একজন অন্যরকম মানুষ, সাদা মনের মানুষ। সিএনএন ২০১০ সালে তাকে
‘সিএনএন হিরো’ সম্মানে ভূষিত করে। তার কাছ থেকে এক বিন্দু শিখতে পারলেও
হয়তো অনেকটা শেখা হবে।
নারায়ণনকে নিয়ে সিএনএন একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে। সেখানে তিনি বলেন, আমার পড়ালেখা শেষে ব্যাঙ্গালোরের তাজ হেটেলে কাজ শুরু করি। একদিন আমি একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ক্ষুধার তাড়ণায় নিজের বিষ্ঠা খেতে দেখলাম। এই দৃশ্য আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়। আমি ভাবলাম, আমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? আমি কি করবো আমার এই জীবনকালে? একটি বড় তারকা হোটেলে আমি আমার সকল অতিথিদের আপ্যায়ন করছি। কিন্তু আমার যেখানে জন্ম সেখানে বহু মানুষ অনাহারে দিন পার করছে। এরপরই আমি আমার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আমার এলাকায় চলে আসি। তারপর আমার এলাকার অভুক্ত মানুষদের আমি খাওয়াতে শুরু করি। সেটা ছিলো ২০০২ সাল।
প্রতিদিন সকালেই আমি এবং আমার কয়েকজন কর্মচারী মিলে নিজের হাতে খাবার রান্না করি। সকালের খাবার থাকে ‘ভেন পোঙ্গল’ এবং ‘সাম্বার’। ‘ভেন পোঙ্গল’ চাল এবং ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। দুপুরের খাবার হিসেবে থাকে বিভিন্ন সবজি এবং চাল দিয়ে তৈরি খিচুরি।
আমরা গৃহহীন, দুস্থ, মানসিকভাবে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ যারা সমাজ থেকে বিচ্যুত তাদের সকলকে খাবার খাওয়াই। মানুষ খাবারের জন্য কষ্ট করে, তারা খেতে পারে না। আপনি যদি তাদেরকে খাবার না দেন, একটা সময় ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে তারা মৃত্যুর কাছে হার মানবে।
আমি নিজে তাদের চুল কেটে দিই, শেভ করে দিই, গোসল করিয়ে দিই। এটা তাদেরকে এটা বোঝানোর জন্য করি যে তারাও মানুষ। তাদের মত অসহায় মানুষদেরও দেখাশোনা করার জন্য কেউ আছে। তাদেরকেও বাঁচার জন্য আস্থার সাথে কারো হাত ধরতে হবে।
মানুষের জন্য খাবার একটি অংশ, ভালোবাসা আরেকটি অংশ। খাবার তাদেরকে শারীরিকভাবে সবল করে, আর তাদের প্রতি স্নেহ ভালোবাসা মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয়।
আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ। ধর্মীয়ভাবে আমাদের অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। ব্রাহ্মণরা এরকম মানুষদের শরীরে স্পর্শ করতে পারে না, জড়িয়ে ধরতে পারে না, খাওয়াতে পারে না। কিন্তু সকলের শরীরেই সাড়ে পাঁচ লিটার রক্ত আছে। আমি শুধুই একজন মানুষ। আমার কাছে সকলেই সমান। এরকম হাজার হাজার অসহায় মানুষ আছে, যারা বিভিন্নভাবে কষ্ট করছে।
জীবনের পরম উদ্দেশ্য আসলে কি? সেটি হচ্ছে, দেওয়া। দেওয়া শুরু করুন, দেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা উপভোগ করুন।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/06/01/72642.html#sthash.uqClm42V.dpuf
নারায়ণন কৃষ্ণণ। একজন অন্যরকম মানুষ, সাদা মনের মানুষ। সিএনএন ২০১০ সালে তাকে ‘সিএনএন হিরো’ সম্মানে ভূষিত করে। তার কাছ থেকে এক বিন্দু শিখতে পারলেও হয়তো অনেকটা শেখা হবে।
নারায়ণনকে নিয়ে সিএনএন একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে। সেখানে তিনি বলেন, আমার পড়ালেখা শেষে ব্যাঙ্গালোরের তাজ হেটেলে কাজ শুরু করি। একদিন আমি একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ক্ষুধার তাড়ণায় নিজের বিষ্ঠা খেতে দেখলাম। এই দৃশ্য আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়। আমি ভাবলাম, আমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? আমি কি করবো আমার এই জীবনকালে? একটি বড় তারকা হোটেলে আমি আমার সকল অতিথিদের আপ্যায়ন করছি। কিন্তু আমার যেখানে জন্ম সেখানে বহু মানুষ অনাহারে দিন পার করছে। এরপরই আমি আমার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আমার এলাকায় চলে আসি। তারপর আমার এলাকার অভুক্ত মানুষদের আমি খাওয়াতে শুরু করি। সেটা ছিলো ২০০২ সাল।
প্রতিদিন সকালেই আমি এবং আমার কয়েকজন কর্মচারী মিলে নিজের হাতে খাবার রান্না করি। সকালের খাবার থাকে ‘ভেন পোঙ্গল’ এবং ‘সাম্বার’। ‘ভেন পোঙ্গল’ চাল এবং ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। দুপুরের খাবার হিসেবে থাকে বিভিন্ন সবজি এবং চাল দিয়ে তৈরি খিচুরি।
আমরা গৃহহীন, দুস্থ, মানসিকভাবে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ যারা সমাজ থেকে বিচ্যুত তাদের সকলকে খাবার খাওয়াই। মানুষ খাবারের জন্য কষ্ট করে, তারা খেতে পারে না। আপনি যদি তাদেরকে খাবার না দেন, একটা সময় ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে তারা মৃত্যুর কাছে হার মানবে।
আমি নিজে তাদের চুল কেটে দিই, শেভ করে দিই, গোসল করিয়ে দিই। এটা তাদেরকে এটা বোঝানোর জন্য করি যে তারাও মানুষ। তাদের মত অসহায় মানুষদেরও দেখাশোনা করার জন্য কেউ আছে। তাদেরকেও বাঁচার জন্য আস্থার সাথে কারো হাত ধরতে হবে।
মানুষের জন্য খাবার একটি অংশ, ভালোবাসা আরেকটি অংশ। খাবার তাদেরকে শারীরিকভাবে সবল করে, আর তাদের প্রতি স্নেহ ভালোবাসা মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয়।
আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ। ধর্মীয়ভাবে আমাদের অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। ব্রাহ্মণরা এরকম মানুষদের শরীরে স্পর্শ করতে পারে না, জড়িয়ে ধরতে পারে না, খাওয়াতে পারে না। কিন্তু সকলের শরীরেই সাড়ে পাঁচ লিটার রক্ত আছে। আমি শুধুই একজন মানুষ। আমার কাছে সকলেই সমান। এরকম হাজার হাজার অসহায় মানুষ আছে, যারা বিভিন্নভাবে কষ্ট করছে।
জীবনের পরম উদ্দেশ্য আসলে কি? সেটি হচ্ছে, দেওয়া। দেওয়া শুরু করুন, দেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা উপভোগ করুন।
নারায়ণনকে নিয়ে সিএনএন একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে। সেখানে তিনি বলেন, আমার পড়ালেখা শেষে ব্যাঙ্গালোরের তাজ হেটেলে কাজ শুরু করি। একদিন আমি একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ক্ষুধার তাড়ণায় নিজের বিষ্ঠা খেতে দেখলাম। এই দৃশ্য আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়। আমি ভাবলাম, আমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? আমি কি করবো আমার এই জীবনকালে? একটি বড় তারকা হোটেলে আমি আমার সকল অতিথিদের আপ্যায়ন করছি। কিন্তু আমার যেখানে জন্ম সেখানে বহু মানুষ অনাহারে দিন পার করছে। এরপরই আমি আমার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আমার এলাকায় চলে আসি। তারপর আমার এলাকার অভুক্ত মানুষদের আমি খাওয়াতে শুরু করি। সেটা ছিলো ২০০২ সাল।
প্রতিদিন সকালেই আমি এবং আমার কয়েকজন কর্মচারী মিলে নিজের হাতে খাবার রান্না করি। সকালের খাবার থাকে ‘ভেন পোঙ্গল’ এবং ‘সাম্বার’। ‘ভেন পোঙ্গল’ চাল এবং ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। দুপুরের খাবার হিসেবে থাকে বিভিন্ন সবজি এবং চাল দিয়ে তৈরি খিচুরি।
আমরা গৃহহীন, দুস্থ, মানসিকভাবে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ যারা সমাজ থেকে বিচ্যুত তাদের সকলকে খাবার খাওয়াই। মানুষ খাবারের জন্য কষ্ট করে, তারা খেতে পারে না। আপনি যদি তাদেরকে খাবার না দেন, একটা সময় ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে তারা মৃত্যুর কাছে হার মানবে।
আমি নিজে তাদের চুল কেটে দিই, শেভ করে দিই, গোসল করিয়ে দিই। এটা তাদেরকে এটা বোঝানোর জন্য করি যে তারাও মানুষ। তাদের মত অসহায় মানুষদেরও দেখাশোনা করার জন্য কেউ আছে। তাদেরকেও বাঁচার জন্য আস্থার সাথে কারো হাত ধরতে হবে।
মানুষের জন্য খাবার একটি অংশ, ভালোবাসা আরেকটি অংশ। খাবার তাদেরকে শারীরিকভাবে সবল করে, আর তাদের প্রতি স্নেহ ভালোবাসা মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয়।
আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ। ধর্মীয়ভাবে আমাদের অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। ব্রাহ্মণরা এরকম মানুষদের শরীরে স্পর্শ করতে পারে না, জড়িয়ে ধরতে পারে না, খাওয়াতে পারে না। কিন্তু সকলের শরীরেই সাড়ে পাঁচ লিটার রক্ত আছে। আমি শুধুই একজন মানুষ। আমার কাছে সকলেই সমান। এরকম হাজার হাজার অসহায় মানুষ আছে, যারা বিভিন্নভাবে কষ্ট করছে।
জীবনের পরম উদ্দেশ্য আসলে কি? সেটি হচ্ছে, দেওয়া। দেওয়া শুরু করুন, দেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটা উপভোগ করুন।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/06/01/72642.html#sthash.uqClm42V.dpuf