কিছু হাসি ,কিছু আবেগ আর কিছু ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ
সকাল সাতটা মনে হয় ,শীতের দিন ছিল ….
সকাল সকাল প্রাইভেট থাকাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পরেছিলাম ।
আটটাই প্রাইভেট ।গোলটেবিলে বসেছিলাম ,স্যার পড়া শুরু করে দিল ….হঠাত্ করেই দেখি এক নতুন ছাত্রী আসল ,সেও আমাদের ব্যাচের এক সাথে আমাদের ক্লাসের মেয়েটি ,তাকে প্রথম দেখিছিলাম যেদিন প্রথম কলেজ আঙ্গিনায় প্রবেশ করেছিলাম ।
চলে গেল চার পাঁচটি মাস এক সাথে প্রাইভেটে ,সামনেই ঘনিয়ে আসল পরীক্ষার তারিখ ,মাত্র কটা দিন আছে হাতে …
প্রাইভেট পরীক্ষা এর মাঝের সময়ে চিন্তা করি প্রোপাজটা সেরেই ফেলি ,বন্ধুদের সবাইকেই বলি …আজ না কাল এই করতে করতে গেল কয়েক সপ্তাহ অবশেষে দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলি ….
মেয়েটার নাম ছিল নীলা ,আকাশের নীল রঙকে যেমন সবাই আপন করে নেই ,তেমনি মেয়েটাও ছিল আকাশীর মতই উদার ,শান্ত ,নিরীহ চেহেরার …
প্রোপোজ ত করতেই হবে ,এখন দিতে হবে ট্রেনিং ,এক বন্ধুকে নীলা বানালাম ,আর প্রোপোজ স্টাইল প্রেকটিস করছি ,এক বন্ধু ঠাট্টার ছলে _ ওই হালা শেষ পর্যন্ত আমারেই নীলা বানাইয়া প্রেকটিস চালাইতাছস ….
যাহৌক অবশেষে একদিন কলেজ শেষে নীলাকে ডাকলাম …
- যা বলার এখানেই বলো
- প্লিজ একটু সামনে আসনা
- পারব না
বান্ধবীরা বলার পরে নীলা একটু আগ বাড়াই …
- বলো ,কি বলবে
- না ,মানে আমি ……
- নীলার বিরক্তিকর স্বরে ,তাড়াতাড়ি বলো …
কলেজ ক্যাম্পাস কিছু আশেপাশেই তার বান্ধবীরা সবাই দেখছে প্রথমেই বললাম নীলা নিরীহ টাইপের ভীষণ ভীতু তাই ভীষণ ভয় পাচ্ছে সে ,কলেজ পড়ুয়া ছেলে কি না কি করে বসে ….
সাগর শেষ পর্যন্ত বলল ,
আর নীলা বলল – দেখ আমি আমার আব্বুকে বলে দিব …
এই সব শুনে বন্ধুরা হেসেই ফেলল ,একটা কলেজ পড়ুয়া মেয়ে যে কিনা নিজেকে বুঝার বয়স নিজের হয়েছে তার এমন কথা ….
পরের দিন নীলা প্রাইভেট পরতে আসে ,আর বন্ধুরা আমার নাম ধরে তাকে ক্ষেপায় …তাও ইভটিজিং না আবার এমনি তাকে দেখলে আমার নাম ধরে গল্প করে ,ছোট ছোট গলায় …
ভীতু হলেও সেই হরিণের কানে নীলা শুনে ফেলে ,পরে আমায় ডেকে বলে আমাকে দেখলে উরা তোমার নাম ধরে কেন ?
কি আজগোপি পাল্লায় পড়লাম আমি ,এই কি মেয়েরা বাবা ?
আরো বলে ,আমাকে যদি আবার বলে আমি স্যারকে বলে দিব ….
আমি আরো ভীষণ লজ্জায় এবং হতভম্ব হয়ে গেলাম ,
আসলেই ,
কারো প্রতি আকর্ষণ না থাকলে ,যার হবে হৌক নাম ধরলে কি সমস্যা ….
এভাবে পরীক্ষা চলে এল ,সে পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেল ,দুর্ভাগ্যক্রমে আমি এক বিষয়ে ফেইল করি …..
জানি না সে কোথায় ,এখন কি করছে ….
আমি একাই রয়ে গেলাম …. জানি না সে কি বোঝেও না বোঝার অভিনয় করেছে নাকি বোঝে নি …
অবশ্য প্রোপোজের দিনে সে বলেছিল দেখ ,
তুমি কি আমার ফ্যামিলি ব্যকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জান ,
আসলে আমি তোমার উপযোগ্য নয় ,
সে সেদিন নিজেকে নিজে অনেক ছোট মনে করেছিল ,আমায় সে অনেক উর্ধ্ধে ভেবেছিল ….
সেদিন ভুল বশতঃ তাকে ডায়েরীটা দিতে পারি নি ,হয়ত সেটা দিলে নীলাকে পেতাম ….
ডায়েরীতে তেমন কিছুই ছিল না ,
সেদিন প্রথম পাতায় ছিল ,
নীলা ,একটি মাত্র শব্দ বা নামটা ….একটা ছোট্ট কয়েক লাইনের চিঠি ছিল …
আর মাঝের পাতায় একবার ভুলকরে পড়া এক ফোটা আমার চোখের জলের দাগ ….
আর শেষ পাতায় ছিল ,নীল আমি তোমায় ভীষন ভালবাসি ,
তুমি যদিও আমায় ভালবাসতে না পার তাতে কিছুই হবে না ,আকাশের নীলের বুকে তুমি সারাজীবন সুখেই থেকো ,এই প্রার্থনা সবসময় থাকবে …
তোমার জীবন সঙ্গী যেন তোমায় আকাশের মতই সর্বদা দেখে ….রাংধনুর মত সুন্দর হৌক তোমার জীবন ….
সকাল সাতটা মনে হয় ,শীতের দিন ছিল ….
সকাল সকাল প্রাইভেট থাকাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পরেছিলাম ।
আটটাই প্রাইভেট ।গোলটেবিলে বসেছিলাম ,স্যার পড়া শুরু করে দিল ….হঠাত্ করেই দেখি এক নতুন ছাত্রী আসল ,সেও আমাদের ব্যাচের এক সাথে আমাদের ক্লাসের মেয়েটি ,তাকে প্রথম দেখিছিলাম যেদিন প্রথম কলেজ আঙ্গিনায় প্রবেশ করেছিলাম ।
চলে গেল চার পাঁচটি মাস এক সাথে প্রাইভেটে ,সামনেই ঘনিয়ে আসল পরীক্ষার তারিখ ,মাত্র কটা দিন আছে হাতে …
প্রাইভেট পরীক্ষা এর মাঝের সময়ে চিন্তা করি প্রোপাজটা সেরেই ফেলি ,বন্ধুদের সবাইকেই বলি …আজ না কাল এই করতে করতে গেল কয়েক সপ্তাহ অবশেষে দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলি ….
মেয়েটার নাম ছিল নীলা ,আকাশের নীল রঙকে যেমন সবাই আপন করে নেই ,তেমনি মেয়েটাও ছিল আকাশীর মতই উদার ,শান্ত ,নিরীহ চেহেরার …
প্রোপোজ ত করতেই হবে ,এখন দিতে হবে ট্রেনিং ,এক বন্ধুকে নীলা বানালাম ,আর প্রোপোজ স্টাইল প্রেকটিস করছি ,এক বন্ধু ঠাট্টার ছলে _ ওই হালা শেষ পর্যন্ত আমারেই নীলা বানাইয়া প্রেকটিস চালাইতাছস ….
যাহৌক অবশেষে একদিন কলেজ শেষে নীলাকে ডাকলাম …
- যা বলার এখানেই বলো
- প্লিজ একটু সামনে আসনা
- পারব না
বান্ধবীরা বলার পরে নীলা একটু আগ বাড়াই …
- বলো ,কি বলবে
- না ,মানে আমি ……
- নীলার বিরক্তিকর স্বরে ,তাড়াতাড়ি বলো …
কলেজ ক্যাম্পাস কিছু আশেপাশেই তার বান্ধবীরা সবাই দেখছে প্রথমেই বললাম নীলা নিরীহ টাইপের ভীষণ ভীতু তাই ভীষণ ভয় পাচ্ছে সে ,কলেজ পড়ুয়া ছেলে কি না কি করে বসে ….
সাগর শেষ পর্যন্ত বলল ,
আর নীলা বলল – দেখ আমি আমার আব্বুকে বলে দিব …
এই সব শুনে বন্ধুরা হেসেই ফেলল ,একটা কলেজ পড়ুয়া মেয়ে যে কিনা নিজেকে বুঝার বয়স নিজের হয়েছে তার এমন কথা ….
পরের দিন নীলা প্রাইভেট পরতে আসে ,আর বন্ধুরা আমার নাম ধরে তাকে ক্ষেপায় …তাও ইভটিজিং না আবার এমনি তাকে দেখলে আমার নাম ধরে গল্প করে ,ছোট ছোট গলায় …
ভীতু হলেও সেই হরিণের কানে নীলা শুনে ফেলে ,পরে আমায় ডেকে বলে আমাকে দেখলে উরা তোমার নাম ধরে কেন ?
কি আজগোপি পাল্লায় পড়লাম আমি ,এই কি মেয়েরা বাবা ?
আরো বলে ,আমাকে যদি আবার বলে আমি স্যারকে বলে দিব ….
আমি আরো ভীষণ লজ্জায় এবং হতভম্ব হয়ে গেলাম ,
আসলেই ,
কারো প্রতি আকর্ষণ না থাকলে ,যার হবে হৌক নাম ধরলে কি সমস্যা ….
এভাবে পরীক্ষা চলে এল ,সে পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেল ,দুর্ভাগ্যক্রমে আমি এক বিষয়ে ফেইল করি …..
জানি না সে কোথায় ,এখন কি করছে ….
আমি একাই রয়ে গেলাম …. জানি না সে কি বোঝেও না বোঝার অভিনয় করেছে নাকি বোঝে নি …
অবশ্য প্রোপোজের দিনে সে বলেছিল দেখ ,
তুমি কি আমার ফ্যামিলি ব্যকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জান ,
আসলে আমি তোমার উপযোগ্য নয় ,
সে সেদিন নিজেকে নিজে অনেক ছোট মনে করেছিল ,আমায় সে অনেক উর্ধ্ধে ভেবেছিল ….
সেদিন ভুল বশতঃ তাকে ডায়েরীটা দিতে পারি নি ,হয়ত সেটা দিলে নীলাকে পেতাম ….
ডায়েরীতে তেমন কিছুই ছিল না ,
সেদিন প্রথম পাতায় ছিল ,
নীলা ,একটি মাত্র শব্দ বা নামটা ….একটা ছোট্ট কয়েক লাইনের চিঠি ছিল …
আর মাঝের পাতায় একবার ভুলকরে পড়া এক ফোটা আমার চোখের জলের দাগ ….
আর শেষ পাতায় ছিল ,নীল আমি তোমায় ভীষন ভালবাসি ,
তুমি যদিও আমায় ভালবাসতে না পার তাতে কিছুই হবে না ,আকাশের নীলের বুকে তুমি সারাজীবন সুখেই থেকো ,এই প্রার্থনা সবসময় থাকবে …
তোমার জীবন সঙ্গী যেন তোমায় আকাশের মতই সর্বদা দেখে ….রাংধনুর মত সুন্দর হৌক তোমার জীবন ….