গরমেকালে খাবার একটু বুঝে শুনে খেতে হয়। কারণ অনেক খাবারই রয়েছে এমন অনেক উপাদান যা গরমটি আরও বাড়িয়ে তোলে। একে তো প্রচণ্ড গরম তার ওপরে খাবার খাওয়ার পরের গরম সব মিলিয়ে দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে যায়। দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমাদের অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা বাড়ে। অনেক সময় হিট স্ট্রোকের কারণ হয়েও দাড়াতে পারে এই ধরণের কাজ। তাই আমাদের সতর্কতার সাথে যে খাবারগুলো গরমে খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কোন কোন খাবার আপনি গরমে পারতপক্ষে খাবেন না এবং যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন।
গরুর মাংস
এই গরমে গরুর মাংস থেকে যতোটা দূরে থাকবেন আপনার জন্য ততোটাই মঙ্গল। গরুর মাংস আমাদের দেহে অনেক বেশি তাপমাত্রা উৎপাদন করে। এছাড়া কলেস্টোরল বৃদ্ধি উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা তো রয়েছেই। গরুর মাংস বেশি ঘাম তৈরি করে। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তখন শরীর অসুস্থ হয়ে পরে। এই গরমে শাক সবজি বেশি খাওয়াই ভালো। এতে দেহ থাকবে সুস্থ।
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার
মশলা সমৃদ্ধ খাবার আমরা অনেকেই মজা করে খেয়ে থাকি। স্বাদ বাড়াতে আমরা রান্নায় অনেক মশলা ব্যবহার করি। কিন্তু গরমকালে এই কাজটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মশলা আমাদের দেহে তাপমাত্রা উৎপাদন করে। এতে করে আমাদের দেহের তাপমাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে। এতে করে আমাদের হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই গরমে আমাদের উচিৎ যতোটা সম্ভব কম মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া।
ফাস্ট ফুড
তেল এবং ভাজাভাজি জাতীয় খাবার এই গরমে অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে অনেক বেশি তেল থাকে। গরমের সময় তেল খেলে আরও গরম লাগে। আবার অনেক ফাস্ট ফুড রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের পানি শুষে নেয়। ফলে এই গরমের মধ্যে আমরা পানিশূন্য হয়ে পড়ি। এতে করে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। সুতরাং তৈলাক্ত এবং ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার এই গরমে না খাওয়াই ভালো।
অতিরিক্ত চা এবং কফি
শীতকালে আমরা অনেক চা বা কফি পান করে থাকি। কারণ এটি আমাদের দেহকে উষ্ণতা প্রদান করে। তাহলে গরমকালেও তো চা বা কফি আমাদের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধিই করবে। সকালে বা বিকালে এক কাপ চা বা কফি না হলে অনেকের চলে না। কিন্তু এর বাইরে চা বা কফি পান করা গরমকালে শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। চা বা কফির ক্যাফেইন দেহকে ডিহাইড্রেট করে ফেলে। এতেও আমরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থবোধ করি।