আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারনে আমাদের বর্তমান অবস্থা
একেবারে নাজেহাল। শীতের দিনে আমাদের যেমন কষ্ট করতে হয় আমার মতে তার চাইতে
বেশি কষ্ট করতে হয় এই গরমের দিনে। সারাদিন বাইরে কাজ করে বাড়ি ফিরে যদি
একটু স্বস্তিবোধ না করা যায় তবে আসলেই খুব ভালো লাগে না- জীবন হয়ে উঠে
যন্ত্রণাময়।আপনার এই অসহ্য যন্ত্রণাকে কিছুটা হলেও দূর করতে পারে এয়ার
কুলার । আজকে মুলত আমার লক্ষ থাকবে এই এয়ার কুলার নিয়ে যা কিছু আমি জানি সব
আপনাদের সাথে শেয়ার করার।তো, চলুন শুরু করা যাক.........
এয়ার কুলার এর কিছু সুবিধাঃ
আপনি একটা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যাবহার করবেন আর সেটায় সমস্যা হবে না এমনটি ভাবার সুজুগ নেই। তবে আপনি যদি ভালো মানের এবং ব্র্যান্ডেড কম্পানির একটা এয়ার কুলার কিনতে পারেন তবে আশা করছি ২/৪ বছরেও কিছু হবে না।
তাছারা যদি কোনরূপ সমস্যা দেখা দেয় ওয়ারেন্টি থাকলে তো কথাই নেই, ওয়ারেন্টি না থাকলে আপনি যারা ফ্রিজ এবং এসির কাজ করে থাকে উনাদের দ্বারা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
এয়ার কুলার কি ?
এয়ার কুলার হল এমন একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যার দ্বারা আপনি আপনার ঘরকে একটু হলেও শীতল করতে পারবেন। এটা মুলত ফ্যানের মতই কাজ করবে। ফ্যান মুলত আমাদের রুমের বাতাস এর চলাচলের গতি বৃদ্ধি করে থাকে। ধরুন আপনার ঘরের বাতাস গরম, ফ্যানের সাধ্য নেই সেই বাতাসকে ঠাণ্ডা করার। এক্ষেত্রে এয়ার কুলার আপনার রুমের বাতাসকে ঠাণ্ডা করে প্রবাহিত করবে।কেন এয়ার কুলার কিনবেন ?
যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা এই এয়ার কুলার কিনতে পারেন,এটা সহজেই স্থানান্তরযোগ্য- মানে আপনি ঢাকা থেকে বাড়িতে গেলেন ৭ দিনের সফরে,সেখানেও আপনি এয়ার কুলার ব্যাবহার করতে পারবেন। তাছারা এসির চাইতে এই ডিভাইস এর দাম ও অনেক কম। ব্যাবহারে নেই খুব বেশি ঝামেলা।
এয়ার কুলার এর কিছু সুবিধাঃ
- পরিবেশ বান্ধব ।
- ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহের ফলে ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে, রুম থাকবে ঠাণ্ডা ।
- তুলনামুলক কম বিদ্যুৎ খরচে আপনি ভালো সেবা পেতে পারেন। এসির চাইতে ৭০%-৮০% বিদ্যুৎ খরচ কম।
- ইন্সটল করার ঝামেলা নেই, জাস্ট কেনার পর বাসায় নিবেন এবং ব্যাবহার শুরু করবেন।
- খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।ম্যানুয়ালি ছাড়াও এখন অনেক এয়ার কুলারে রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে। ফলে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
- ফিল্টার করা ঠাণ্ডা বাতাস পাবেন, যা আপনাকে রাখবে ফুরফুরে।
- আবার কিছু কিছু এয়ার কুলার রয়েছে জেগুলু আপনাকে গরমে দিবে ঠাণ্ডা বাতাস এবং শীতের দিনে দিবে গরম বাতাস।
এয়ার কুলার কিভাবে কাজ করে থাকেঃ
খুব সহজেই বলতে গেলে উপরের দিকে থাকে বরফ দেওয়ার মত একটা জায়গা। এবং নিচের দিকে থাকে পানি দেওয়ার পাত্র। এই দুয়ের ফলেই আমরা ঠাণ্ডা বাতাস পাই এয়ার কুলার থেকে। নিচের দিকে পানিটাকে উপরে বরফের সাথে সংমিশ্রণ করে পাখা দিয়ে মুলত রুমকে ঠাণ্ডা করে থাকে এই এয়ার কুলার ।স্পেসিফিকেশনঃ
ইভাপোড়েটিভ এয়ার কুলার এর কিছু কমন স্পেসিফিকেশন নিচে দিলাম, দেখে নিন......- ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে এবং রিমোট কন্ট্রোল থাকবে।
- শুধু ইনডোরে ব্যাবহার করার জন্য।
- ৩২০ স্কয়ায় ফিটের রুম হলেও ঠাণ্ডা করার মত সামর্থ্য আছে এই এয়ার কুলারের।
- কম্প্রেসর ছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবেই ঠাণ্ডা করে থাকবে।
- সহজেই কন্ট্রোল প্যানেল ব্যাবহার করা যাবে।
- কম বিদ্যুৎ খরচেই ঠাণ্ডা পাবেন।
- বেশ কয়েক ধরনের স্পীড পাবেন- হাই, লো, মিডিয়াম ইত্যাদি।
- কিছু কিছু কুলারে আপনি বেশি পরিমানে পানি রাখার মত সুবিধা পাবেন, যেন একটু পর পর পানি পরিবর্তন করতে না হয়।
যদি আপনি বেশি সময় ধরে এয়ার কুলার ব্যাবহার করতে চান তবে কেনার সময় পানি রাখার জন্য বেশি জায়গা দেখে কিনবেন, ২০ থেকে ৩০ লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হলে ভালো হয় ।
- সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিতে পারবেন।
- এয়ার কুলার এর উপরের দিকে বরফ দেওয়ার জন্য জায়গাটা দেখে নিবেন।
আপনি একটা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যাবহার করবেন আর সেটায় সমস্যা হবে না এমনটি ভাবার সুজুগ নেই। তবে আপনি যদি ভালো মানের এবং ব্র্যান্ডেড কম্পানির একটা এয়ার কুলার কিনতে পারেন তবে আশা করছি ২/৪ বছরেও কিছু হবে না।
তাছারা যদি কোনরূপ সমস্যা দেখা দেয় ওয়ারেন্টি থাকলে তো কথাই নেই, ওয়ারেন্টি না থাকলে আপনি যারা ফ্রিজ এবং এসির কাজ করে থাকে উনাদের দ্বারা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।