হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি : বিলীন হচ্ছে লাঙ্গল-হুক্কা-পালকি

মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ৫:৪৮ PM |

উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর বাংলা বর্ষবরণকে ঘিরে ইলিশ-পান্তা খাওয়াসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হলেও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি, কাঠের লাঙল, ঢেঁকি, হুক্কা ও পালকি কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ সব ঐহিত্যবাহী খেলাধুলা। বাংলা নববর্ষ এলেই এদেশের মানুষ নিজেদের বাঙালি প্রমাণ করার জন্য গ্রামীণ জীবনের নানা অনুসঙ্গ নিয়ে মেতে ওঠেন। এত কিছুর পরও গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রধান প্রধান উপাদানগুলোর ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গ্রাম-বাংলার ওইসব ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি, কাঠের লাঙল, ঢেঁকি, পালকি ও হুক্কাসহ গ্রামীণ জীবনযাপনে ব্যবহৃত
অতিপরিচিত গৃহস্থালী সামগ্রীর অনেক কিছুই বিলীন হতে চলেছে। নিকট অতীতেও লক্ষ্য করা গেছে গরু-মহিষের গাড়ি ছাড়া বিয়ের কনে ও বরযাত্রীদের যাতায়াত কল্পনাই করা যেত না। বিয়েতে গরু-মহিষের গাড়ির ব্যবহার গ্রামবাংলার একটি অন্যতম ঐতিহ্য। এ ছাড়া এ অঞ্চলের এক এলাকা হতে অন্য এলাকার হাট-বাজারে এসব পণ্য বহনে একমাত্র ভরসা ছিল গরু-মহিষের গাড়ি। যুগের পরিবর্তনে মানুষজন গরু-মহিষের গাড়ির ব্যবহার বাদ দিয়ে এখন ওই একই কাজে ব্যবহার করছে রিক্শা, ভ্যান, অটোরিক্শা, সিএনজি, ভটভটি, নছিমন-করিমন, মাইক্রো, কার ও বাস-ট্রাকসহ ইঞ্জিনচালিত নানান বাহন।
একই ভাবে গৃহস্থ পরিবারের জমি চাষাবাদের জন্য সে সময় কাঠের লাঙলই ছিল কৃষকদের একমাত্র ভরসা। কৃষকদের কাঠের লাঙলের পরিবর্তে এখন পাওয়ার টিলারসহ যান্ত্রিক অন্যান্য পদ্ধতি স্থান করে নিয়েছে। ওই সময়গুলোতে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ চাল ছাঁটাইয়ের কাজে ঢেঁকি ব্যবহার করলেও ঢেঁকির সে স্থানে এখন চলে এসেছে অত্যাধুনিক রাইচমিল। এখন আর কোনও গ্রামে ঢেঁকির ধান ভানা চিরচেনা সুমধুর সেই শব্দ আর শোনা যায় না। আবার কৃষক-শ্রমিক তাদের ধূমপানের চাহিদা মেটাতে সে সময় হুক্কা ব্যবহার করলেও এখন বিড়ি-সিগারেট দিয়েই সে চাহিদা তারা পূরণ করছেন। এছাড়া দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে-মেয়েসহ নানান বয়সীরা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা, বৌছি, দাড়িয়াবান্দা, গোল্লাছুট ও মার্বেল খেলা, ঘুড়ি উড়ানোসহ নানা খেলায় সারা বছরই থাকতো মেতে। এসব খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম-গঞ্জে অনেক সময় বসতো বড় বড় মেলা। এসব মেলায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হতো গ্রাম-বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। এ সময় গ্রামে-গ্রামে বিরাজ করতো অন্যরকম খুশির জোয়ার। এখন আমাদের প্রবীণদের কাছে এসব শুধুই স্মৃতি। দ্রুত বয়ে চলা সময়ের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্য ভুলে এখন গ্রাম-বাংলার মানুষজনও হয়ে যাচ্ছেন যান্ত্রিক।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি : বিলীন হচ্ছে লাঙ্গল-হুক্কা-পালকি উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর বাংলা বর্ষবরণকে ঘিরে ইলিশ-পান্তা খাওয়াসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হলেও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি, কাঠের লাঙল, ঢেঁকি, হুক্কা ও পালকি কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ সব ঐহিত্যবাহী খেলাধুলা। বাংলা নববর্ষ এলেই এদেশের মানুষ নিজেদের বাঙালি প্রমাণ করার জন্য গ্রামীণ জীবনের নানা অনুসঙ্গ নিয়ে মেতে ওঠেন। এত কিছুর পরও গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রধান প্রধান উপাদানগুলোর ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গ্রাম-বাংলার ওইসব ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি, কাঠের লাঙল, ঢেঁকি, পালকি ও হুক্কাসহ গ্রামীণ জীবনযাপনে ব্যবহৃত অতিপরিচিত গৃহস্থালী সামগ্রীর অনেক কিছুই বিলীন হতে চলেছে। নিকট অতীতেও লক্ষ্য করা গেছে গরু-মহিষের গাড়ি ছাড়া বিয়ের কনে ও বরযাত্রীদের যাতায়াত কল্পনাই করা যেত না। বিয়েতে গরু-মহিষের গাড়ির ব্যবহার গ্রামবাংলার একটি অন্যতম ঐতিহ্য। এ ছাড়া এ অঞ্চলের এক এলাকা হতে অন্য এলাকার হাট-বাজারে এসব পণ্য বহনে একমাত্র ভরসা ছিল গরু-মহিষের গাড়ি। যুগের পরিবর্তনে মানুষজন গরু-মহিষের গাড়ির ব্যবহার বাদ দিয়ে এখন ওই একই কাজে ব্যবহার করছে রিক্শা, ভ্যান, অটোরিক্শা, সিএনজি, ভটভটি, নছিমন-করিমন, মাইক্রো, কার ও বাস-ট্রাকসহ ইঞ্জিনচালিত নানান বাহন। একই ভাবে গৃহস্থ পরিবারের জমি চাষাবাদের জন্য সে সময় কাঠের লাঙলই ছিল কৃষকদের একমাত্র ভরসা। কৃষকদের কাঠের লাঙলের পরিবর্তে এখন পাওয়ার টিলারসহ যান্ত্রিক অন্যান্য পদ্ধতি স্থান করে নিয়েছে। ওই সময়গুলোতে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ চাল ছাঁটাইয়ের কাজে ঢেঁকি ব্যবহার করলেও ঢেঁকির সে স্থানে এখন চলে এসেছে অত্যাধুনিক রাইচমিল। এখন আর কোনও গ্রামে ঢেঁকির ধান ভানা চিরচেনা সুমধুর সেই শব্দ আর শোনা যায় না। আবার কৃষক-শ্রমিক তাদের ধূমপানের চাহিদা মেটাতে সে সময় হুক্কা ব্যবহার করলেও এখন বিড়ি-সিগারেট দিয়েই সে চাহিদা তারা পূরণ করছেন। এছাড়া দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে-মেয়েসহ নানান বয়সীরা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা, বৌছি, দাড়িয়াবান্দা, গোল্লাছুট ও মার্বেল খেলা, ঘুড়ি উড়ানোসহ নানা খেলায় সারা বছরই থাকতো মেতে। এসব খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম-গঞ্জে অনেক সময় বসতো বড় বড় মেলা। এসব মেলায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হতো গ্রাম-বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। এ সময় গ্রামে-গ্রামে বিরাজ করতো অন্যরকম খুশির জোয়ার। এখন আমাদের প্রবীণদের কাছে এসব শুধুই স্মৃতি। দ্রুত বয়ে চলা সময়ের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্য ভুলে এখন গ্রাম-বাংলার মানুষজনও হয়ে যাচ্ছেন যান্ত্রিক।
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

অনুসন্ধান

Blogger দ্বারা পরিচালিত.