কোরবানি উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্যে গরুকে পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামিথাসনের মতো ভয়ংকর ক্ষতিকারক ওষুধ খাইয়ে ফুলিয়ে ফেলছেন। বিষাক্ত রাসায়নিকের হাইডোজ প্রয়োগ করে অল্প দিনে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তাজা করা হচ্ছে অবলা এই পশুকে। অতি দ্রুত এক সপ্তাহের ভেতরে গরু মোটাতাজা করার জন্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যারেন্ট পাউডার খাওয়ানো হচ্ছে। বিষাক্ত হয়ে ওঠা এসব গরুর মাংস খেলে লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্তসহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, গরুকে প্রথমে ভিটামিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর ১০-১৫ দিন পর হেমোটফিন বিএস ১০ এমএল ইনজেকশন মাংসপেশিতে প্রয়োগ করা হয়। পশুকে ওরাডেকশন ইনজেকশনও দেওয়া হচ্ছে। ওরাডেকশন-জাতীয় ইনজেকশন একসঙ্গে ২০-৩০টি প্রয়োগ করলে গরুর কিডনি অকেজো হতে থাকে। এরপর গরু দ্রুত মোটা হতে থাকে। এ ছাড়া মোটাতাজাকরণের জন্য কৃমিনাশক, ক্যাটোফস, এডি৩ সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও বিভিন্ন ওষুধ কম্পানির প্ররোচনায় ফাঁদে পা দিচ্ছেন গরু বিক্রেতেরা। গাবতলীর সবুজ ডেইরি ফার্মের মালিক আমিনুল ইসলাম তোতা জানান, কতিপয় ব্যবসায়ীরা সাধারণ খাবারের সঙ্গে দ্রুত মোটা করতে গরুকে ক্যাটেল কেয়ার, ইনজ্যাইভিট, এনোরা, সেটরনসহ বিভিন্ন বিষজাতীয় ওষুধ খাওয়াচ্ছে। এসব ওষুধের মাধ্যমে মোটাতাজা গরু ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জবাই করা না হলে তা এমনিতেই মারা যায়। এ বছর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু প্রবেশ করা বন্ধ থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুণ। দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সুযোগে শত কোটি টাকা মূল্যমানের হাজার হাজার গরুকে অবৈধ পন্থায় মোটাতাজা করা হচ্ছে। কোরবানির হাটে এসব গরু বিক্রি করা হবে। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজা একটি প্রচলিত কৌশল। এটি একটি স্বল্পমেয়াদি লাভজনক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করে হাজার হাজার বেকার যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছে। তবে অসাধু বিক্রেতারা এক নোংরা ব্যবসা শুরু করেছে। অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে আসল গরু বিক্রেতাদেরও গরু মোটাজাতকরণ ব্যবসায় সামিল করছে। জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ ও অপদ্রব্যের সাহায্যে গরু ফোলানো থেকে বিরত থাকার জন্যে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রানী চিকিৎসকরাও দিয়ে চলেছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
Home » স্বাস্থ্য -চিকিতস্যা » বিষাক্ত ওষুধে ফুলছে কোরবানির গরু
বিষাক্ত ওষুধে ফুলছে কোরবানির গরু
মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ১১:৫৮ AM | স্বাস্থ্য -চিকিতস্যাকোরবানি উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্যে গরুকে পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামিথাসনের মতো ভয়ংকর ক্ষতিকারক ওষুধ খাইয়ে ফুলিয়ে ফেলছেন। বিষাক্ত রাসায়নিকের হাইডোজ প্রয়োগ করে অল্প দিনে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তাজা করা হচ্ছে অবলা এই পশুকে। অতি দ্রুত এক সপ্তাহের ভেতরে গরু মোটাতাজা করার জন্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যারেন্ট পাউডার খাওয়ানো হচ্ছে। বিষাক্ত হয়ে ওঠা এসব গরুর মাংস খেলে লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্তসহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, গরুকে প্রথমে ভিটামিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর ১০-১৫ দিন পর হেমোটফিন বিএস ১০ এমএল ইনজেকশন মাংসপেশিতে প্রয়োগ করা হয়। পশুকে ওরাডেকশন ইনজেকশনও দেওয়া হচ্ছে। ওরাডেকশন-জাতীয় ইনজেকশন একসঙ্গে ২০-৩০টি প্রয়োগ করলে গরুর কিডনি অকেজো হতে থাকে। এরপর গরু দ্রুত মোটা হতে থাকে। এ ছাড়া মোটাতাজাকরণের জন্য কৃমিনাশক, ক্যাটোফস, এডি৩ সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও বিভিন্ন ওষুধ কম্পানির প্ররোচনায় ফাঁদে পা দিচ্ছেন গরু বিক্রেতেরা। গাবতলীর সবুজ ডেইরি ফার্মের মালিক আমিনুল ইসলাম তোতা জানান, কতিপয় ব্যবসায়ীরা সাধারণ খাবারের সঙ্গে দ্রুত মোটা করতে গরুকে ক্যাটেল কেয়ার, ইনজ্যাইভিট, এনোরা, সেটরনসহ বিভিন্ন বিষজাতীয় ওষুধ খাওয়াচ্ছে। এসব ওষুধের মাধ্যমে মোটাতাজা গরু ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জবাই করা না হলে তা এমনিতেই মারা যায়। এ বছর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু প্রবেশ করা বন্ধ থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুণ। দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সুযোগে শত কোটি টাকা মূল্যমানের হাজার হাজার গরুকে অবৈধ পন্থায় মোটাতাজা করা হচ্ছে। কোরবানির হাটে এসব গরু বিক্রি করা হবে। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজা একটি প্রচলিত কৌশল। এটি একটি স্বল্পমেয়াদি লাভজনক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করে হাজার হাজার বেকার যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছে। তবে অসাধু বিক্রেতারা এক নোংরা ব্যবসা শুরু করেছে। অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে আসল গরু বিক্রেতাদেরও গরু মোটাজাতকরণ ব্যবসায় সামিল করছে। জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ ও অপদ্রব্যের সাহায্যে গরু ফোলানো থেকে বিরত থাকার জন্যে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রানী চিকিৎসকরাও দিয়ে চলেছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
অনুসন্ধান
এখন সাথে আছেন
বিভাগ
আমাদের খাদ্য
ইন্টারনেট
ইন্টারনেটে আয়
উইন্ডোজ ১০
উইন্ডোজ ৮
উইন্ডোজ এক্সপি
উইন্ডোজ সেভেন
উৎসব
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কবিতা- সাহিত্য
কেনাকাটা
ক্যারিয়ার
খেলার খবর
টিপস এন্ড ট্রিকস
টিভি
দুর্যোগ
ধর্ম
প্রতিভার খবর
প্রযুক্তির খবর
প্রাণী জগৎ
প্রেম-ভালবাসা
ফটোগ্রাফি
ফেসবুক
বাংলা ছিনেমা
ভ্রমণ
মোবাইল ফোন
রহস্যময় খবর
রেডিও
লাইভ টিভি
লিনাক্স
শিক্ষা
সচেতনতা
সম্পর্ক
সাংস্কৃতিক সংবাদ
সৌরবিদ্যুৎ
স্বাস্থ্য -চিকিতস্যা
হাসপাতালের নাম-ঠিকানা
জনপ্রিয় লেখাগুলো
-
অনলাইনে দেখতে চাইলে বোর্ড বাছাই ও আপনার রোল নাম্বার দিয়ে সাবমিট করুন। SSC Results 2013 Created by Md.Abdul Mazed Sarker ...
-
হোয়াটসঅ্যাপ’ আর শুধুমাত্র মোবাইল ম্যাসেজিং সার্ভিস থাকছে না। বহু প্রতিক্ষীত ইন্টারনেট কলিং সার্ভিস নিয়ে আসতে যাচ্ছে ম্যাসেজিংয়ের এই শীর্ষ...
-
আগে তো শুধু সিনেমাতেই আজব আজব সুপার হিউম্যান দেখা যেতো। কিন্তু এখন বাস্তব জগতেও দেখা মেলে সুপার হিরোদের। তেমনি একজন অতিমানব হলো নাতাশা ড...
-
গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে, তা কি আসলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথব...