মেক্সিকোতে খুঁজে পাওয়া অদ্ভুদ প্রাণীটি কি এলিয়েন?

মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ৯:২৫ AM |
এলিয়েন এর অস্তিত্ব নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। দুনিয়া জুড়ে অজস্র মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী আবার অবিশ্বাসীর সংখ্যাও কম নয় বরং বেশী। এলিয়েন দেখেছেন এমন দাবি অনেকেই হরহামেশা করে যাচ্ছেন। এলিয়েন এর ছবিও ইন্টারনেটে ঘাঁটলে কম পাওয়া যায় না। তবে এরিয়া-৫১ এ থাকা একটি প্রাণী যাকে এলিয়েন বলে দাবি করা হয় এর পরেই বিখ্যাত এলিয়েন সম্ভবত মেক্সিকোতে প্রাপ্ত একটি প্রাণীর দেহ। যদিও কোনটিকেই নিশ্চিত করে কিছুই বলার উপায় নেই। তবে বাইরের গ্রহে প্রাণী থাকাটা খুব বেশী অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না অনেক বিশেষজ্ঞদের।

মেক্সিকোতে কি হয়েছিল ?

২০০৭ সালের ম্যাক্সিকোতে একজন কৃষক মারিও লোফেজ তার ফার্ম ঘুরে দেখার সময় দেখতে পেল
অদ্ভুদ ধরনের দু'টি প্রানী। ছোট এই প্রাণীটি দেখে কিছুটা ভীত হয়ে তিনি এটাকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কয়েক দফা চেষ্টার পর কয়েক ঘণ্টা পানির নিচে চুবিয়ে রেখে উনি এটাকে মেরে ফেলেন। মারার পর গুজব রটে এটি একটি এলিয়েনের বাচ্চা। ভদ্রলোক দাবি করেছেন এই প্রাণীটিকে ধরার সময় অনুরূপ দেখতে আরেকটি প্রাণী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং এলাকাবাসীর দাবি হলো এই ঘটনার পর তারা আকাশে একাধিক ফ্লাইং সসার উড়তে দেখেছেন। এসব মিলে এলিয়েন গুজব একবারে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। মেক্সিকান টিভিতে এটি নিয়ে প্রতিবেদন দেখানো হলে বিজ্ঞানীরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। মৃতদেহ তারা উদ্ধার করে ডিএনএ এবং অন্যান্য টেস্ট করান। গিরগিটির মতো কঙ্কালধারী প্রাণীটি বলা বাহুল্য আমাদের জানা কোনো প্রজাতির সঙ্গে হুবহু মিল পড়ে না। প্রাণীটি পানির নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে সক্ষম ছিল। এর দাঁতের গঠন চেনা কোনো প্রজাতির সঙ্গে মেলে না। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো এটির মস্তিষ্কের গঠন দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এটা বেশ বুদ্ধিমান প্রাণীর বংশধর।

প্রাণীটি কেমন ছিল?

প্রানীটি মানুষ এবং গিরগিট প্রজাতির সংমিশ্রন। এর মাথার আকৃতি বড় থাকায়
সহজেই ধরে নেওয়া যায় বেশ বুদ্ধিমান প্রানী এটি। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা
করে দেখতে পান যে এই প্রানীটি অক্সিজেন ছাড়া কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে সক্ষম।
পৃথিবীর বুকে এই বৈশিষ্টের কোন প্রানীর অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা
সম্ভব হয়নি।

প্রাণীটিকে নিয়ে বানানো ছোট একটি ভিডিও প্রতিবেদন

 

এরপর কি হয়েছিল?

 রহস্যজনক ভাবে যে কৃষক এই প্রানীটির মৃত দেহ বিজ্ঞানীদের কাছে এনেছিলেন
অর্থাৎ যিনি এই প্রানীকে ধরা এবং হত্যা করার জন্য দ্বায়ি তিনি এক গাড়ি
দূর্ঘটনায় মারা যান। ঘটনার কয়েকমাস পর ঐ খামারি গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে আগুন লেগে মারা যান। এলাকাবাসীর দাবি এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তার গাড়ির আগুন নেভাবাত দ্বায়িত্যে কর্তব্যরত অগ্নি
নির্বাপন ব্যাবস্থার কর্মীদের মতে তার গাড়ির আগুনের তাপমাত্রা অন্যান্য
আগুনের তাপমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি ছিল। তাহলে কি বেঁচে যাওয়া আরেকটি
প্রানী (এলিয়েন) তার সাথির হত্যার প্রতিশোধ নিল!!!!  এর কোন সঠিক উত্তর কারো
জানা নেই।

সত্যিই কি এই প্রাণী এলিয়েন?

সত্যি বলতে কি এলিয়েনের বিশ্বাসযোগ্য ছবি পাওয়াটা আসলেই কঠিন। তবে এই প্রাণীটি কি আসলেই এলিয়েন কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। জে. মসসেনসহ একাধিক ইউএফও বিশেষজ্ঞ এটিকে এলিয়েন বলে রায় দিয়েছেন। আবার এটি একটি হোয়াক্স সে সম্পর্কেও অনেকেই মতামত দিয়েছেন। তাদের কথা এটি কোনো আন্ডার ডেভেলপড বানর বা কাঠবিড়ালির বাচ্চা।
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

অনুসন্ধান

Blogger দ্বারা পরিচালিত.