পশ্চিম আফ্রিকায় নতুন এক ভাইরাস এর আবির্ভাব দেখা দিয়েছে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহেও। এ ভাইরাস- এর এখন পর্যন্ত কোন মেডিসিন আবিষ্কৃত হয়নি, এর কোন প্রতিকারও নেই। একমাত্র সচেতনতাই এখন পর্যন্ত এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। কেননা, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে অন্যের কাছে সরাসরি এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে। উইদাউট বর্ডারের সিনিয়র অফিসিয়াল এই ভাইরাসকে টুটালি আউট অব কন্ট্রোল বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। পশ্চিম আফ্রিকার গুনিয়া থেকে গত বছর এই ভাইরাসের উৎপত্তি, যা বর্তমানে সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়াতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এটা মারাত্মক এক সংকট । উইদাউট বর্ডার ডিরেক্টর বার্ট জানসেন জরুরী ভিত্তিতে আরো মেডিক্যাল টিম পাঠানোর জন্য সরকারকে লিখেছেন, একই সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সাড়া দেয়ারও আহবান জানিয়েছেন। এ পর্যন্ত সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়াতে ৪০ জন আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল স্টাফ সেখানে চিকিৎসা সেবা দিতেছেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানা গেছে। জানসেন ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, সেজন্যে তিনি আরো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা ও অধিক সংখ্যক মেডিক্যাল টিম চেয়েছেন। এ পর্যন্ত জানা গেছে গত কয়েকদিনে ৩০০ এর উপরে নিহত হয়েছেন। গুয়েনাতে ৩৩০ জন মারা গেছেন। এ ভাইরাস যখন সংক্রমিত হয় তখন ইন্টারনাল ব্লিডিং এর সাথে অর্গান ফেইলর হয়ে যায়, ফলে রোগী তাড়াতাড়ি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হলেও ডাক্তাররা বলছেন একমাত্র রোগ সম্পর্কে সতর্কতা এবং সাপোর্টিভ কেয়ারই রোগ নিরাময় হতে পারে। জানসেন আরো জানালেন, এখনি কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের সংস্পর্শে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ফ্যাডেলা চাইব বলেন, ভাইরাস মানুষের সংস্পর্শে বর্ডার অতিক্রম করে এই এবোলো এখন মারাত্মক আকার ধারণ করতেছে । জানসেন আরো বলছেন, জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। এবোলো আক্রান্ত লোকদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, কিছুতেই আক্রান্ত লোকের সান্নিধ্যে আসা যাবেনা এবং এবোলো ভাইরাসে মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবেনা- এখন পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ জানসেনের। প্লান ইন্টারন্যাশনালের সূত্রে জানা গেছে ১৯৭৬ সালে একবার কঙ্গোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিলো। তখন ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। তারপর থেকে এই ভাইরাস নিয়ে তেমন কোন রিসার্চ হয়নি বা এর আর ছড়িয়েও পড়েনি।
Home » স্বাস্থ্য -চিকিতস্যা » এবোলো ভাইরাস- যার কোন প্রতিষেধক নেই, এ পর্যন্ত মৃত্যু ৩৩০
এবোলো ভাইরাস- যার কোন প্রতিষেধক নেই, এ পর্যন্ত মৃত্যু ৩৩০
মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ৮:৫৮ PM | সচেতনতা | স্বাস্থ্য -চিকিতস্যাপশ্চিম আফ্রিকায় নতুন এক ভাইরাস এর আবির্ভাব দেখা দিয়েছে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহেও। এ ভাইরাস- এর এখন পর্যন্ত কোন মেডিসিন আবিষ্কৃত হয়নি, এর কোন প্রতিকারও নেই। একমাত্র সচেতনতাই এখন পর্যন্ত এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। কেননা, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে অন্যের কাছে সরাসরি এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে। উইদাউট বর্ডারের সিনিয়র অফিসিয়াল এই ভাইরাসকে টুটালি আউট অব কন্ট্রোল বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। পশ্চিম আফ্রিকার গুনিয়া থেকে গত বছর এই ভাইরাসের উৎপত্তি, যা বর্তমানে সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়াতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এটা মারাত্মক এক সংকট । উইদাউট বর্ডার ডিরেক্টর বার্ট জানসেন জরুরী ভিত্তিতে আরো মেডিক্যাল টিম পাঠানোর জন্য সরকারকে লিখেছেন, একই সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সাড়া দেয়ারও আহবান জানিয়েছেন। এ পর্যন্ত সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়াতে ৪০ জন আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল স্টাফ সেখানে চিকিৎসা সেবা দিতেছেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানা গেছে। জানসেন ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, সেজন্যে তিনি আরো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা ও অধিক সংখ্যক মেডিক্যাল টিম চেয়েছেন। এ পর্যন্ত জানা গেছে গত কয়েকদিনে ৩০০ এর উপরে নিহত হয়েছেন। গুয়েনাতে ৩৩০ জন মারা গেছেন। এ ভাইরাস যখন সংক্রমিত হয় তখন ইন্টারনাল ব্লিডিং এর সাথে অর্গান ফেইলর হয়ে যায়, ফলে রোগী তাড়াতাড়ি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হলেও ডাক্তাররা বলছেন একমাত্র রোগ সম্পর্কে সতর্কতা এবং সাপোর্টিভ কেয়ারই রোগ নিরাময় হতে পারে। জানসেন আরো জানালেন, এখনি কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের সংস্পর্শে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ফ্যাডেলা চাইব বলেন, ভাইরাস মানুষের সংস্পর্শে বর্ডার অতিক্রম করে এই এবোলো এখন মারাত্মক আকার ধারণ করতেছে । জানসেন আরো বলছেন, জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। এবোলো আক্রান্ত লোকদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, কিছুতেই আক্রান্ত লোকের সান্নিধ্যে আসা যাবেনা এবং এবোলো ভাইরাসে মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবেনা- এখন পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ জানসেনের। প্লান ইন্টারন্যাশনালের সূত্রে জানা গেছে ১৯৭৬ সালে একবার কঙ্গোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিলো। তখন ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। তারপর থেকে এই ভাইরাস নিয়ে তেমন কোন রিসার্চ হয়নি বা এর আর ছড়িয়েও পড়েনি।
অনুসন্ধান
এখন সাথে আছেন
বিভাগ
আমাদের খাদ্য
ইন্টারনেট
ইন্টারনেটে আয়
উইন্ডোজ ১০
উইন্ডোজ ৮
উইন্ডোজ এক্সপি
উইন্ডোজ সেভেন
উৎসব
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কবিতা- সাহিত্য
কেনাকাটা
ক্যারিয়ার
খেলার খবর
টিপস এন্ড ট্রিকস
টিভি
দুর্যোগ
ধর্ম
প্রতিভার খবর
প্রযুক্তির খবর
প্রাণী জগৎ
প্রেম-ভালবাসা
ফটোগ্রাফি
ফেসবুক
বাংলা ছিনেমা
ভ্রমণ
মোবাইল ফোন
রহস্যময় খবর
রেডিও
লাইভ টিভি
লিনাক্স
শিক্ষা
সচেতনতা
সম্পর্ক
সাংস্কৃতিক সংবাদ
সৌরবিদ্যুৎ
স্বাস্থ্য -চিকিতস্যা
হাসপাতালের নাম-ঠিকানা
জনপ্রিয় লেখাগুলো
-
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। জায়নামাজের দোয়াঃ জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ শুরুর পূর্বেই এই দোয়া পড়তে হয়, বাংলা উচ...
-
ব্রাজিলের মাঠে হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আর টিভিতে বাংলায় ধারাবিবরণী, তাহলে কেমন হবে বলুন তো? নিশ্চয়ই অনেকে বলবেন, দারুণ! তাহলে তো বেশ...
-
'এইটিন ইয়ার্স ওল্ড ভার্জিন। মামা, লাগবে নাকি? ইন্ডিয়া থেকে এসেছে নতুন। পানির মতো ক্লিয়ার ছবি। দামে ঠেকবে না।' ঢাকার তেজগাঁও থানার...
-
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যারোফেক্স’ উড়ন্ত হাই-টেক বাইক বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, ২০১৭...