পারস্পারিক সম্মানবোধ, বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে বৈবাহিক সম্পর্কের সফলতা। বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর দুজনেরই ত্যাগ থাকতে হবে। যদি তা না থাকে তবে তা হবে বিসর্জন। এই বিসর্জন এক সময় যাপিত জীবন বিষিয়ে তোলে, সংসারে শুরু হয় অশান্তি। এই অশান্তির কারনে হোক বা অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বাসনা থেকেই হোক, অনেক পুরুষ দেখা যায় দ্বিতীয় বিয়েতে পা বাড়ান, এবং সেটা প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই। সামাজিক বা নৈতিকতার বিচারে তো অবশ্যই, আমাদের প্রচলিত আইনও এটাকে কোনভাবেই সমর্থন করে না। দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা থেকে ৪৯৬ ধারা পর্যন্ত বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান আছে, যার অধিকাংশ অপরাধই জামিন-অযোগ্য। ৪৯৫ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় প্রথম বা পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন রাখেন, তা যদি দ্বিতীয় বিবাহিত ব্যক্তি জানতে পারেন, তাহলে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৪৯৪ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলে দায়ী ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে যে সাবেক স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বিয়ের সময় পর্যন্ত সে স্বামী বা স্ত্রী যদি সাত বছর পর্যন্ত নিখোঁজ থাকেন এবং এ ব্যক্তি বেঁচে আছেন বলে কোনো সংবাদ না পান, তাহলে এ ধারার আওতায় তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবেন না। ধারা ৪৯৩ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। ৪৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আইনসম্মত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন, তাহলে অপরাধী সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আসুন এ ক্ষেত্রে আমরা আরও জেনে নেই, মুসলিম পারিবারিক আইন কী বলে। কোনো মুসলমান ব্যক্তি প্রথম স্ত্রী থাকলে সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করেন, তিনি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬(৫) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। তাই দ্বিতীয় বিয়ে যদি নেহায়েতেই প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রথম স্ত্রীকে অবশ্যই জানান। প্রতারণার আশ্রয় নিবেন না।
Home » সচেতনতা » প্রথম স্ত্রী রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করলে যেসব বিপদে পড়তে পারেন আপনি
প্রথম স্ত্রী রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করলে যেসব বিপদে পড়তে পারেন আপনি
মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ১১:৫৮ AM | সচেতনতাপারস্পারিক সম্মানবোধ, বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে বৈবাহিক সম্পর্কের সফলতা। বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর দুজনেরই ত্যাগ থাকতে হবে। যদি তা না থাকে তবে তা হবে বিসর্জন। এই বিসর্জন এক সময় যাপিত জীবন বিষিয়ে তোলে, সংসারে শুরু হয় অশান্তি। এই অশান্তির কারনে হোক বা অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বাসনা থেকেই হোক, অনেক পুরুষ দেখা যায় দ্বিতীয় বিয়েতে পা বাড়ান, এবং সেটা প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই। সামাজিক বা নৈতিকতার বিচারে তো অবশ্যই, আমাদের প্রচলিত আইনও এটাকে কোনভাবেই সমর্থন করে না। দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা থেকে ৪৯৬ ধারা পর্যন্ত বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান আছে, যার অধিকাংশ অপরাধই জামিন-অযোগ্য। ৪৯৫ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় প্রথম বা পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন রাখেন, তা যদি দ্বিতীয় বিবাহিত ব্যক্তি জানতে পারেন, তাহলে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৪৯৪ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলে দায়ী ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে যে সাবেক স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বিয়ের সময় পর্যন্ত সে স্বামী বা স্ত্রী যদি সাত বছর পর্যন্ত নিখোঁজ থাকেন এবং এ ব্যক্তি বেঁচে আছেন বলে কোনো সংবাদ না পান, তাহলে এ ধারার আওতায় তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবেন না। ধারা ৪৯৩ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। ৪৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আইনসম্মত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন, তাহলে অপরাধী সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আসুন এ ক্ষেত্রে আমরা আরও জেনে নেই, মুসলিম পারিবারিক আইন কী বলে। কোনো মুসলমান ব্যক্তি প্রথম স্ত্রী থাকলে সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করেন, তিনি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬(৫) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। তাই দ্বিতীয় বিয়ে যদি নেহায়েতেই প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রথম স্ত্রীকে অবশ্যই জানান। প্রতারণার আশ্রয় নিবেন না।
অনুসন্ধান
এখন সাথে আছেন
বিভাগ
আমাদের খাদ্য
ইন্টারনেট
ইন্টারনেটে আয়
উইন্ডোজ ১০
উইন্ডোজ ৮
উইন্ডোজ এক্সপি
উইন্ডোজ সেভেন
উৎসব
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কবিতা- সাহিত্য
কেনাকাটা
ক্যারিয়ার
খেলার খবর
টিপস এন্ড ট্রিকস
টিভি
দুর্যোগ
ধর্ম
প্রতিভার খবর
প্রযুক্তির খবর
প্রাণী জগৎ
প্রেম-ভালবাসা
ফটোগ্রাফি
ফেসবুক
বাংলা ছিনেমা
ভ্রমণ
মোবাইল ফোন
রহস্যময় খবর
রেডিও
লাইভ টিভি
লিনাক্স
শিক্ষা
সচেতনতা
সম্পর্ক
সাংস্কৃতিক সংবাদ
সৌরবিদ্যুৎ
স্বাস্থ্য -চিকিতস্যা
হাসপাতালের নাম-ঠিকানা
জনপ্রিয় লেখাগুলো
-
‘সবার জন্য ল্যাপটপ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীতে আবার বসছে ল্যাপটপ মেলা। আগামী ১৫ থেকে ১৭ মে তিনদিনব্যাপি এ মেলা রাজধানীর বঙ্গবন্...
-
ইংরেজীতে খুব পরিচিত একটি প্রবাদ রয়েছে ‘লাভ ইজ ব্লাইন্ড’। বাংলায় এর অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ভালোবাসা অন্ধ। যার আক্ষরিক অর্থ বলতে বোঝায় ভালোবা...
-
নিজের দেশের Revshare সাইটে কাজ করুন এবং ফ্রিতে ইনকাম করুন অনেকে অনলাইনে আয় করার কথা ভাবছেন তারা দেশি একটা সাইটে কাজ করে দেখতে পারেন ...
-
অনেক ভুগিয়েছে আমাদের শর্টকাট,trojan,autorun,skype সহো আরও অনেক virus যা pen-drive এর সাথে আমাদের পিসি তে এসে পরে। আর আমি আজ যে antivirus ...