নীতিমালাটি কার্যকর হলে ইন্টারনেট সেবার মূল্য কমার পাশাপাশি এ সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এতে আইএসপিগুলো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে এগিয়ে আসবে বলে মনে করছে কমিশন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বে টেলিযোগাযোগ খাতের আয়ের ৮০ শতাংশই আসছে ডাটা থেকে। আর বাকি ২০ শতাংশ আয়ের উত্স ভয়েস কল।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ওয়াইম্যাক্স ও আইপি ফোন সেবা চালুর পর ইন্টারনেটভিত্তিক সেবার ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে। এর পাশাপাশি কমানো হয়েছে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের মূল্য। সম্প্রতি সেলফোন অপারেটরদের থ্রিজি সেবা চালুর পর এ খাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবে বিশ্বব্যপী ইন্টারনেট সেবাদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আইএসপি। এজন্য আইএসপিগুলোকে আরো আধুনিক সেবাদানে সক্ষম করে তুলতেই তৈরি করা হয়েছে ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ফর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার’ শীর্ষক নীতিমালা।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক (এনজিএন) ভিত্তিক সেবা দেয়ার সুযোগ পাবেন। ফলে গ্রাহকরা একই লাইনের মাধ্যমে আইপি ফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি আইপি-টিভি সেবা পাবেন। এছাড়া আইএসপিগুলোকে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ভাগাভাগির সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে অঞ্চলভিত্তিক আইএসপিগুলোর সেবা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা দেয়া হচ্ছে।
আইএসপিএবির হিসাবে বর্তমানে দেশে ৬৫টি আইএসপি ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান। বিটিআরসি সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেটের গ্রাহক রয়েছে ৩ কোটি ৬১ লাখের বেশি। এর মধ্যে আইএসপির ও ফিক্সড ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবার গ্রাহকসংখ্যা ১২ লাখ ২৫ হাজার। আর এ গ্রাহকের সিংহভাগই আইএসপিগুলোর কাছ থেকে সেবা নিয়ে থাকে।