মাহে রমজানের সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচী

মোঃ আব্দুল মাজেদ সরকার | ১০:১৪ AM |

আগামীকাল থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। বছরের অন্যান্য মাসের মধ্যে মাহে রমযানের অবস্থান আলাদা। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম রমজান মাসের ক্যালেন্ডার  এবং সেহরী ও ইফতারের সময় সূচীঃ

পবিত্র রমজানের সাহরী ও ইফতারেরর সময় সূচীঃ
১। রহমতের ১০ দিনের ক্যালেন্ডার।

২। মাগফিরাতের ১০ দিনের ক্যালেন্ডার।

৩। নাজাতের ১০ দিনের ক্যালেন্ডার।

৪। সবগুলো দিনের ক্যালেন্ডার একসাথে।

রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ বা অবশ্যকর্তব্য। মাহে রমজানে রোজা পালনকারী একজন মুসলমান সত্যিকারের খাঁটি ইবাদতকারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। রহমত ও বরকতের দিক দিয়ে রমজান মাস অন্য ১১ মাস থেকে ভিন্ন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসের প্রথমাংশে রহমত, দ্বিতীয়াংশে মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমা আর তৃতীয়াংশে নাজাত তথা দোজখ থেকে মুক্তি।’ (বুখারি)

সেহেরী :
সেহেরী মাহে রমজানের বরকতময় একটি পর্ব। সেহেরীর বাহ্যিক বরকত হচ্ছে, রোজাদারের রোজা রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মন প্রফুল্ল থাকে। আর সেহেরীর অন্তর্নিহিত বরকত হচ্ছে, এ সময়ে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয় এবং বান্দার দোয়া কবুল করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহেরী খাও, এতে বরকত আছে।’ (মুসলিম)
সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত সেহেরীর শেষ ভাগ। তাই রাতের একটু শেষ ভাগেই সেহেরী খাওয়া সুন্নত। এতে অশেষ বরকত রয়েছে।
ইফতার:
সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে হবে। ইফতারের জন্য খেজুর ও পানির কথা হাদিস দ্বারা সমর্থিত। ইফতার নিজে করা এবং অন্যকে করানো সওয়াবের কাজ। যে ব্যক্তি অন্যকে ইফতার করাবে, তার সওয়াবের কোনো কমতি হবে না। ইফতার করার সময় এ দোয়াটি পড়তে হয়: ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’ ইফতারের ক্ষণটি দোয়া কবুলের সময়। রোজাদারের জন্য আনন্দময় মুহূর্ত দুটি। একটি ইফতারের সময়, অন্যটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে: ‘রোজাদার যখন ইফতার করে, তার দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না।’
রোজা যেসব কারণে ভঙ্গ হয়:
১. জ্ঞাতসারে পানাহার ২. কেউ জোরপূর্বক কিছু খাইয়ে দিলে; ৩. নাকে বা কানের ভেতরে ওষুধ দিলে; ৪. কোনো খাদ্য বা বস্তু অসুখের কারণে পেটের ভেতরে দিলে; ৫. মস্তকে কোনো ওষুধের তেজ গেলে; ৬. লোহা, কাঠ, মাটিসহ এমন বস্তু গিলে ফেলা, যা সাধারণত খাওয়া হয় না; ৭. ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করলে; ৮. রাত আছে বলে মনে করে সকালে সেহির খেয়ে ফেললে; ৯. সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে; ১০. ভুলে খানা খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে—এই মনে করে ইচ্ছা করে কোনো কিছু খাওয়া; ১১. দিনের বেলা কুলি করতে গিয়ে গলার মধ্যে পানি গেলে; ১২. নিয়ত ছাড়া রোজা রাখার পর ইচ্ছাপূর্বক রোজা ভঙ্গ করলে; ১৩. হুক্কা, বিড়ি, তামাক বা ইচ্ছাপূর্বক ধূমপান করলে এবং ধূপ ও আগরবাতি জ্বালিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার ধোঁয়া গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়:
১. অযথা কোনো বস্তু মুখের মধ্যে রেখে চিবানো; ২. লবণ বা অন্য কোনো বস্তুর স্বাদ নিয়ে থুতু করে তা আবার ফেলে দেওয়া; ৩. মাজন, কয়লা বা পেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা; ৪. ফরজ গোসলের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও সারা দিন গোসল না করে কাটানো; ৫. শিঙা লাগানো, ৬. রক্তদান করা; ৭. গিবতে লিপ্ত হওয়া; ৮. মারামারি করা, ঝগড়া করা, গালি দেওয়া।

পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে  ধন্যবাদ
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

অনুসন্ধান

Blogger দ্বারা পরিচালিত.